পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૦8 वथ्राक्-नि [ थींय* ম—মধু সংগ্ৰহ করি আর হুল ফুটাই। তোমরা না জান মধু সংগ্ৰহ করিতে, না জান হুল ফুটাইতে—কেবল ঘ্যান ঘ্যান পার। একটা কাজের সঙ্গে খোজ নাই—কেবল র্কাছনে মেয়ের মত দিবারাত্রি ঘ্যানঘ্যান। একটু বকবিকি লেখালেখি কম করিয়া কিছু কাজে মন দাও—তোমাদের শ্ৰীবৃদ্ধি হইবে। মধু করিতে শেখ—স্থল ফুটাইতে শেখ । তোমাদের রসনা অপেক্ষ আমাদের হুল শ্রেষ্ঠ—বাক্যবানে মানুষ মরে না ; আমাদের হুলের ভয়ে জীবলোক সদা সশঙ্কিত ! স্বর্গে ইন্দ্রের বজ্র, মর্ত্যে ইংরেজের কামান, আর আকাশমার্গে আমাদের হুল ! সে যাক, মধু কর ; কাজে মন দাও । নিতান্ত যদি দেখ, রসনাকণ্ডুয়ন রোগ জন্য কাজে মন যায় না—জীবে কাষ্টকি দিয়া ঘা কর—অগত্য কাজে মন যাইতে পারে। আর শুধু ঘ্যান ঘ্যান ভাল লাগে না ।” এই বলিয়া ভ্রমররাজ ভো করিয়া উড়িয়া গেল । আমি ভাবিলাম যে, এই ভ্রমর অবশ্য বিশেষ বিজ্ঞ পতঙ্গ শুনা আছে মনুষ্যের পদবৃদ্ধি হইলেই সে বিজ্ঞ বলিয়া গণ্য হয়। এই জন্য দ্বিপদ মমুন্য হইতে চতুষ্পদ পশু—পক্ষান্তবে যে সকল মনুম্ভোব পদবৃদ্ধি হইয়াছে—তাহারা অধিক বিজ্ঞ বলিয়া গণ্য । এই ষট্রপদের—একখানি না, দুখানি না— ছয় ছয় খানি পা ! অবশ্য এ ব্যক্তি বিশেষ বিজ্ঞ হইবে—ইহার অসামান্ত পদবৃদ্ধি দেখা যায়। এই বিজ্ঞ পতঙ্গের পরামর্শ অবহেলন করি কি প্রকারে ? অতএব আপাতত ঘ্যান ঘানানি বন্ধ করিলাম–কিন্তু মধু সংগ্রহের আশাটা রহিল। বঙ্গদর্শন পুষ্প হইতে অহিফেণ মধু সংগ্ৰহ হইবে এই ভরসায় প্রাণ ধারণ করে— আপনার আজ্ঞাবহ ঐকমলাকান্ত চক্রবত্তী ।