পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ન્મ & दछधभन्नि [ धांवन মুবিশদ চিত্তে জগতের সমুদয় কাৰ্য্যকারণত পরিস্ফুরিত হইতে লাগিল। তখন অদ্বৈতবাদ আমার হৃদয়ে অঙ্কুরিত হইয়া উঠিল, জগৎ ব্রহ্মের ভেদ জ্ঞান অপনীত হওয়াতে আমি ঈশ্বরে তন্ময় হইয়া পড়িলাম।” কিঞ্চিৎ পরে গ্রন্থকার লিখিতেছেন “আমার বোধ হইল, আমি যেন পরব্ৰহ্মানন্দে লীন হইতেছি ও আমিই ব্ৰহ্ম নিশ্চয় জানিয়া, ব্রহ্ম কথা বলিতে বলিতে আমি নিস্তব্ধ মুছাগত হইলাম, সেই সময়ে আমার এইরূপ বোধ হইল যেন আমি একটা পাক ঘুরিয়া সূৰ্য্যরূপে অবস্থিত হইয়াছি, সমুদয় জগৎ আমার নয়ন গোচর হইতে লাগিল। আমি যেন সৰ্ব্বভূতের বহিরস্তুরব্যাপী হইয়া রহিয়াছি, পদার্থ সকল অতি বিমল ও লোচনানন্দদায়ক, স্থানে স্থানে বিবিধ মধুর স্বরে আনন্দধ্বনি হইতেছে, পশু পক্ষী জলচর প্রভৃতি যে সমস্ত প্রাণী এই জগতে আছে সে সকল আমি, ভেদাভেদ কিছুই নাই। আমি ব্ৰহ্মানন্দময়, আমা ভিন্ন এই অনন্ত মহাবিশ্বে আর কিছুই নাই, এই বিশ্ব আমারই স্বভাব, আমি কালেতে পুনঃ পুন: বিশ্বরূপে প্রকাশিত হইতেছি সকলই আমি। আমার এই প্রকার নিশ্চয় বোধ হইবামাত্র এই সংসারের আত্মীয় বন্ধু বান্ধব ও পুত্র কলত্র, প্রভৃতির প্রতি যে মায় তাহ একেবারে নিমেষমধ্যে তিরোহিত হইয়া যাইল সুতরাং দ্বৈত বস্তু না থাকায় আমিই অদ্বৈতরূপে অবস্থিত রছিলাম " দুই এক পৃষ্ঠা পরে গ্রন্থকার তাহার আর এক ঘটনার কথা বলিতেছেন। “পৃথিবী ছাড়িয়া পূৰ্ব হইতে অতি দূরবত্তা মরুৎ পথে উঠিতে উঠিতে শূন্তমধ্যে একটি বৃহৎ অট্টালিকা আমার দর্শনপথের অতিথি হইল।” গ্রন্থকাব দেখিলেন যে, যে সকল মনুষ্য বিগতামু হইতেছে তাহারা এই অট্টালিকার পৃথক পৃথক কক্ষায় রক্ষিত হইতেছে কাহার সহিত কাতার সক্ষাৎ হয় না। প্রলয় পৰ্য্যন্ত তাহার ঐরূপে থাকিবে ও প্রলয়ের পর নূতন স্থষ্ঠি হইলে ঈশ্বর-ইচ্ছায় ঐ সকল আপন আপন কৰ্ম্মফলে নরকে বা স্বরধামে গমন করিবে । গ্রন্থকারও ঐ অট্টালিকার এক কক্ষ পাইযাছিলেন। তাহার পর অকস্মাৎ কোথা হইতে তিনটা ঈষৎ নীল é রক্তাদি বর্ণ অতি তেজোময় জ্যোতিঃপ্রবাহ রাজুবৎ তাতার গাত্র বেষ্টন করিয়া র্তাহাকে কক্ষ হইতে লইয়া চলিল। গ্রন্থকার বলিতেছেন “শেষ এক তরল মুবিস্তীর্ণ অনিবার অতিভীষণ প্রবাহে তরঙ্গিত জ্বলন্ত পাবকময় মহাসিন্ধু মধ্যে নিক্ষেপ করিল, আমি সেই অগ্নিময় সমুদ্রে নিমগ্ন হুইয়া, অতিশয় যন্ত্রণায় কাতর হইতে লাগিলাম, সেই স্থানটি অতি ভয়াবহু, অস্বচ্ছ, আলোকিত অথচ কিছুই দৃষ্টিগোচর হয় না, সকলই বহ্নিবর্ণ ও তরলম্পর্শ। সেই নিদারুণ অনলে আমার দেহ · যত দগ্ধ হইতে লাগিল আমি ততই দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করিতে লাগিলাম, কিন্তু আমার ভূতাবাস ভস্মসাৎ না হইয় পূর্ববং অবিকৃত রহিল, আমি সেই কঠোর