পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮৫ } প্রাপ্তগ্রন্থের সংক্ষিপ্ত সমালোচল ، یعی S همه অবস্থায় নিপতিত হইয়া এই চিন্তা করিলাম, বোধ হয় পরমেশ্বর এই অনন্ত নরক পাপিলোকদিগের নিমিত্ত সৃষ্টি করিয়াছেন।” তাহার পর সেই তিনটী জ্যোতিঃপ্রবাহ গ্রন্থকারকে নরক হইতে তুলিয়া আর একস্থানে ফেলিয়া গেল। গ্রন্থকার লিখিয়াছেন “তথায় এক মুরম্য হৰ্ম্ম্যে উপস্থিত হইলাম। গৃহটা সন্তানক কুসমমালাসনাথ অরবিন্দপরিমলবাহী মৃদুমন্দ গন্ধবহের নিয়ত সঞ্চারে অতি সুখসেবা, নয়নপ্রীতিকর মুস্নিগ্ধ মন্থণ মরকত প্রস্তরে নিৰ্ম্মিত কুটিম, তাহার অভ্যন্তরে দুগ্ধফেশসল্লিভ পুস্পপ্রকরাবকীর্ণ কোমল পৰ্য্যক্ষোপরি উত্তান শয়নে এক দিব্যাকৃতি পুরুষ শয়ান রহিয়াছেন। ব্ৰহ্মা, রুদ্র, বায়ু, বরুণ, ইন্দ্র, সপ্তর্ষিমণ্ডল তাহার চতুর্দিকে পরিবেষ্টন করিয়া রহিয়াছেন। আমি উপস্থিত হইলে তিনি মুখবাদান করিলেন ; আমি তৎক্ষণাৎ তাহাতে প্রবেশ করিলাম ; প্রবেশ মাত্র আমার দিব্য জ্ঞান জন্মিল।” যাহা উপরে উদ্ধৃত করা গেল বোধ হয় তাহাই যথেষ্ট, পরে ৩৬ পৃষ্ঠা পৰ্য্যস্ত যাহা আছে তাহার সর্বত্র এইরূপ । এই সকল অংশ পাঠ করিয়া যিনিই যাহা বলুন, আসল এই সকল ঘটনাই গ্রন্থের মূল। গ্রন্থকার ৪০ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছেন “সমুদয় ধর্মের প্রতি আমার সংশয় হওয়াতে, আমি কে, কোথা হইতে আগত হইলাম, ও পরিণামে কোথায় গমন করিব, এই প্রপঞ্চ সংসার কোথা হইতে আগত হইল, তাহাও পরিণামে কোথায় যাইবে, অতএব, এই বিশ্ব কিরূপে কোথা হইতে আসিল ? এই চিন্তা আমার মনোমধ্যে নিরবধি থাকিত, তদনন্তর আমি আমার গত পীড়িত অবস্থায় ঐ বিস্ময়জনক ব্যাপার দর্শনাবধি এ পৰ্য্যস্ত কোন বিতর্ক না দেখিয়া এই বিশ্বের সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয় ঐ প্রকারে হইতেছে, তাহ নিশ্চয় বোধ হওয়ায়, স্বভাব নামে মহা পুস্তকের সহিত আমি ঐক্য করত, আমার সামান্ত বুদ্ধির কৌশলে যাহা স্থির করিয়াছি তাহা আমি সৰ্ব্বসাধারণকে জ্ঞাতকরণ জন্য প্রকাশ করিতেছি।” গ্রন্থসূচনা এই। এক্ষণে গ্রন্থ কিরূপ তাহা না পড়িয়া অনেকে অনুভব করিতে পারেন। গ্রন্থকার পীড়ার পরিচয় দিয়া ভাল করেন নাই ; প্রশংসা কবিরাজ * এক লইল, র্তাহার ঔষধ অতি আশ্চৰ্য্য ! وسسه چ