পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আ" বঙ্গদর্শনে একজন বাঙ্গালি গবর্ণরের অদ্ভূত বীরত্বের বিবরণ প্রকাশিত হইয়াছে। সুবিজ্ঞ লেখক সয়ের মতাক্খরীণ হইতে এই বিবরণ সংগ্ৰহ করিয়াছেন ৫ কিন্তু তিনি হাস্যরসেব অনুচিত অবতারণা করিতে যাইয়া দুর্লভরামের চিত্র অতিরঞ্জিত করিয়া তুলিয়াছেন। মূল ইতিহাসের সহিত র্তাহার কোন কোন কথার ঐক্য নাই। দুর্লভরামের সেনাপতির নাম আতাউল্লা খী নহে, মির আবহুল আজিজ। মারহাট্টারা আসিয়া উপস্থিত হইলে, মির . আবদুল আজিজ তুর্লভরামের অনুমতির অপেক্ষা না করিয়াই আপনার লোকদিগকে প্রস্তুত হইতে আদেশ করেন। নিদ্রাভঙ্গ হইলেই দুর্লভরাম দৌড় মারেন নাই । তিনি বাহিরে আসিয়া দুর্গে যাইবার জন্য পান্ধিতে আরোহণ করেন। মির আবদুল - আপনার লোক লইয়া সেই পান্ধির সঙ্গে যাইতে থাকেন। কিছু দূর গেলে । মারহাট্ট সৈন্য আসিয়া পড়াতে তুর্লভরাম পান্ধি ছাড়িয়া কোন ভগ্নগৃহে পলাইতেছিলেন, এমন সময় সেনাপতি আবদুল তাহাকে ধরিয়া ফেলেন, এবং অশ্বে আরোহণ করিতে কহেন। তুর্লভরাম অশ্বারোহণে আবদুল আজিজও তাহার সৈন্যদলের সহিত দুর্গে উপনীত হয়েন। তিনি তুর্গমধ্যে বন্দী হয়েন নাই। তুর্লভরাম সন্ন্যাসীদের কথায়, আত্মসমর্পণ করিয়া সন্ধির প্রস্তাব করেন। সৈন্যসংক্রান্ত অনেক কৰ্ম্মচারী দুর্লভরামের প্রস্তাবে সম্মত হয়েন। কিন্তু মির আবহুল ইহাতে নিতান্ত অসন্মতি প্রকাশ করেন। সন্ন্যাসীদের কুপরামর্শে তুর্লভরামের বুদ্ধি লোপ পাইয়াছিল, সুতরাং তিনি সন্ধি করিতেই উদ্যত হয়েন। কয়েক দিন । কথাবার্তার পর, তুর্লভরাম গড় হইতে বাহিরে আসিয়া মারহাট্টাপতি রঘুজী ভোসলার সহিত সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতের পর তিনি বাসস্থানে ফিরিয়া আসিতে চাহেন, কিন্তু মারহাট্টাপতি র্তাহাকে প্রচণ্ড সূৰ্য্য তাপের সময় বাসায় যাইতে, বারণ করিয়া, সেইখানে কিছুকাল বিশ্রাম করিতে অনুরোধ করেন। তুর্লভরাম ও

  • Seir Mutaqherin. II, 611-614,