পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• १२७” यजमश्रमि [ ভাঙ্গ র্তাহার সমভিব্যাহারিগণ এইরূপ অমুরুদ্ধ হইয়া অস্ত্রাদি পরিত্যাগ পূর্বক রঘুজীর শিবিরে নিজিত হইয়া পড়েন। এই অবসরে মারহাট্টাগণ র্তাহাদিগকে বন্দী করিয়া ফেলে। আবদুল আজিজের ভ্রাতা, তুর্লভরামের সঙ্গে গিয়াছিলেন, সুতরাং তিনিও বন্দী হয়েন। কেবল মির আবদুল আজিজ তুর্গে আসিয়া, আপনাদের স্বাধীনতা ও নবাব আলিবর্দি খার সম্মান রক্ষা করেন । তুর্লভরামের এই পরিচয়ে, বাঙ্গালার ইতিহাসানভিজ্ঞ পাঠক, উদ্দেশে সমস্ত বাঙ্গালীর প্রতি তৰ্জ্জনী সঞ্চালন করিতে পারেন ; সেই জন্য এই স্থলে বাঙ্গালীর বীরত্ব সম্বন্ধে দুই একটা দৃষ্টান্ত দেখাইতে ইচ্ছা হইতেছে। বাঙ্গালার সকলেই দুর্লভরামের ন্যায় ছিলেন না অদৃষ্টদোষে বাঙ্গালার সর্বাঙ্গসম্পূর্ণ ইতিহাস নাই ; বাঙ্গালার ইতিহাসের আলোচনা করিতেও অনেক বাঙ্গালীর প্রবৃত্তি নাই। এক দুর্লভরামের বিবরণ বঙ্গদর্শনের স্তম্ভে দেখিয়া, অনভিজ্ঞ পাঠক উচ্চ করতালিধ্বনির সহিত বলিয়া উঠিতে পারেন “হো ! হে: ! বাঙ্গালী কবে মানুষ ছিল ?” 磷 বাঙ্গালার পূৰ্ব্বে গৌরব অনেক ছিল, বাঙ্গালীর পূর্ববীরত্বও অনেক ছিল, 'আপনাদের পূর্ব গৌরবকাহিনী শুনিলে লাভ ভিন্ন ক্ষতি নাই, এবং উপকার ভিন্ন অপকার নাই। র্যাহাদের মনোবৃত্তি বিকারগ্রস্ত হইয়াছে, তাহারা ইহাতে উপহাস .করিতে পারেন, কিন্তু তাহাদের জন্য আমাদের এই প্রয়াস নয়। রঘুবংশে কালিদাস রঘুর দিগ্বিজয় বর্ণনায় বাঙ্গালীর সম্বন্ধে লিখিয়াছেন – “বঙ্গামুংখায় ভরসা নেতা নেীসাধনোদ্যতান । নিচখান জয়ন্তস্তান গঙ্গস্রোতোটুম্বরেষু স: (১) ইহাতে বোধ হইতেছে, কালিদাস যখন রঘুবংশ লিখেন, তখন বাঙ্গালী নৌযুদ্ধে পটু ছিল। এবং তখন বাঙ্গালী স্বাধীন ছিল । কেহ কেহ অনুমান করেন, বালী ও যবদ্বীপেও বাঙ্গালীর জয়পতাকা উড়িয়াছিল। সমুদ্রযাত্রা ও সামুদ্রিক রাজ্য জয়ে বাঙ্গালী যেমন যোগ্যতা দেখাইয়াছে, এমন ভারতবর্ষের আর কোন জাতি দেখাইতে পারে নাই। পাল ও সেনবংশের বীরত্বের বিবরণ আজও বাঙ্গালী উজ্জল করিয়া রাখিয়াছে। মুঙ্গেরে যে একখানি তাম্রশাসন-পত্র পাওয়া যায়, তাহাতে লিখিত মাছে, গৌড়ের অধিপতি দেবপাল দেব মুগ গিরিতে (মুঙ্গেরে) শিবির সন্নিবেশ (১) সেনানায়ক সেই রঘু, আরোহণ পূৰ্ব্বক যুদ্ধার্থ উপস্থিত বৰৰাণীবিগকে পরাজয় করিয়া গঙ্গার মধ্যস্থ দ্বীপে জয়ন্তভ স্থাপন করিলেন ।