পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& ° 犧 * ২৬২ نام - वछझfञ [ ভাজ বিশ্রামলাভের অভিপ্রায়ে এক উদ্যানমধ্যে অবস্থিতি করিতেছিলাম ( অস্তার্থ প্রাণ লইয়া পলাইয়া বনের ভিতর সারাদিন লুকাইয়াছিলেন )—সেইখানে এক বড় ভারি বাড়ী দেখিয়াছি—বড় লোকের বাড়ী অনুমান হয় ।” আবহলহিমদ খুলী হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, A “সে বাড়ীতে যুবতী ও সুন্দরী স্ত্রীলোক আছে কি না কোন সন্ধান রাখ ?" যে বাড়ীর কথা মেহেরসেখ বলিতেছিল সে মোহনলাল শেঠিয়া নামে একজন অতি ধনাঢ্য বণিকের বাড়ী। তাহারই পার্শ্বস্থ জঙ্গলে মেহের লুকাইয়া প্রাণরক্ষা করিয়াছিল! সেই বাড়ীতে যমুনা নামে একজন অৰ্দ্ধবয়সী পরিচারিক ছিল—কৃষ্ণাঙ্গী, স্কুলোদরী,—পঞ্চাশৎ বর্ষ বয়স্ক । দৈবাৎ উপরের জানেল হইতে, বনমধ্যে লুক্কায়িত মেহেরের উপর তাহার দৃষ্টি পড়িয়াছিল। মেহেরেরও সেই সময়ে যমুনার উপর দৃষ্টি পড়িয়াছিল। এখন, এ পঞ্চাশত বৎসর মধ্যে কেহ কখন যমুনার রূপে মুগ্ধ হইয় তাহার পানে চাহে নাই। যমুনা মনে করিল আজ সে মুখের দিন উপস্থিত হইয়াছে - যখন এ ব্যক্তি বনের ভিতর লুকাইয়া থাকিয়া আমার পানে চাহিতেছে তখন নিশ্চিত এ আমার উপাসক ; ইহাকে মদনানলে পীড়িত করাই আমার অবশ্য কৰ্ত্তব্য । এই ভাবিয়া যমুনা মেহেরের প্রতি চক্ষুকোঠর হইতে একটি বিলোল কটাক্ষ বাড়িয়া গৃহকৰ্ম্মে গেল। আবার একটু ঘুরিয়া আসিয়া আবার একটা ধারাল রকম নয়নবান হানিয়া ফেলিল । মেহেরও মৰ্ম্ম বুঝিয়া চরিতার্থ হইলেন—এই পয়ষট্টি বৎসর বয়সে র্তাহার পাকা দাড়ি সার্থক বিবেচনা করিলেন—এবং বিমুগ্ধচিত্তে সন্ধ্যার পর সেই ত্রিতল গৃহমধ্যে দুগ্ধফেণনিভ শয্যায় গন্ধদ্রব্য ও পুষ্পমাল্য সহিত যমুনাসুন্দরীর বাহুলতায় কণ্ঠ বেষ্টনের মুখকল্পনা করিতেছিলেন—ইত্যবসরে হাসানআলির ভেরী বাজিল । অগত্যা তাহাকে শিবিরে আসিতে হইয়াছিল কিন্তু অদর্শনে কল্পনাদেবীর কিঞ্চিৎ অনুগ্রহ হয়—অতএব মেহের ক্রমে ভাবিতে লাগিলেন যে সেই বাতায়নবিহারিণী মেহের-প্রেমে অভিভূতার স্যায় মুন্দরী আর ইহলোকে জন্মগ্রহণ করে নাই। ইহাতে মেহেরের অপরাধ নাই—কেন না এই পঞ্চষষ্টি বৎসর পরিমিত জীবনমধ্যে তাহার অস্থিময় কৃষ্ণকাস্তি কখনও স্ত্রীজাতির সরস কটাক্ষের বিষয়ীভূত হয় নাই। অতএব যখন আবদুল হামিদ তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, সে গৃহে যুবতী ও সুন্দরী স্ত্রী আছে কি না, তখন মেহের বেচারা এককালীন কল্পনা ও অলঙ্কার শাস্ত্রাধিষ্ঠাত্রী সরস্বতী দেবীর বশীভূত হইয়া বলিল, যে গোলাবের মত মোলায়েম, আফতাব ও সেতারের মত রেশনাই করনেওয়ালী দুই এক জন ষোড়শী রমণী তিনি সেই গৃহে দেখিয়া জাসিয়াছেন । আরও বলিলেন যে তাহারা (কল্পনায় বহু বচন )—তাহারা অত্যন্ত মুরসিক,—তাহার প্রতি বিশেষ কৃপা করিয়াছিলেন—এবং কেবল নিমকের জয়