পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

אי* »२४८ ] 7 রাজসিংহ । ২৬১ আব। যেখানে বড় বাড়ী দেখিব, সেইখানে তরবাল হাতে প্রবেশ করিয়া, মেয়ে কাড়িয়া আনিয়া দোলায় বসাইব । মাজুম । দোলাই বা পাইবে কোথায় ? তাও ত রাজপুত কাড়িয়া লইয়া গিয়াছে। আবছল । তাহাও যেখানে দেখিব সেইখান হইতে কাড়িয়া আনিব। • মা । বস্ত্ৰালঙ্কার ? অ ! তাও লুঠ করিয়া আনিব। হাতিয়ার থাকলে অভাব কিসের ? যার হাতিয়ার অাছে, তুনিয়া তার । পারিষদগণ আবদুলহামিদের বিজ্ঞতার বিশেষ প্রশংসা করিতে লাগিল । কিন্তু মূৰ্খ মাজুম তবু বুঝে না—তথাপি আপত্তি করিতে লাগিল—বলিল, “তোমরা যেন রাজকন্যা সাজাইয়া বাদশাহের সম্মুখে উপস্থিত করিয়া বলিলে এই রূপনগরের রাজকুমারী—কিন্তু কন্যা যদি বলে যে না—আমাকে মার কোল থেকে কাড়িয়া আনিয়া জাল রাজকুমারা সাজাইয়াছে ?" আবদুল বলিল, “ফুঃ তা আর বলিতে হয় না—দিল্লার বাদশাহেব বেগম হতে কার অসাধ ?" মাৰ্জ্জুম । ঠোঁক—না হয় সেই যেন লোভে পড়িয়া চুপ কবিল—কিন্তু এই ছাউনিতে এত শিপাহা—ইহাদের কাহাবও না কাহার দ্বারা এ জাল প্রকাশ পাইবে—তখন আমাদিগের প্রাণ কে রাখিবে ? আবদুল হতাশ হইয়া বলিল—“আল্লা । এত বড় বে-অকুব বদ-হোস কমবখ ৎ বেচার। আমি ত কখন দেখি নাই ! এই ছাউনির মধ্যে আমার এ কারসাজি জানিবে কে ? আমি কি এ কথা আর কাহাকে বলিব না কি ? কন্যা আনিয়া ছাউনিতে উপস্থিত করিয়া বলিব যে রাত্রে রাজপুতের ছাউনিতে পড়িয়া তাহাদের ফতে করিয়া রূপনগরের শাহজাদীকে কাড়িয়া আনিয়াছি। ভাবনা কি ? সকলে সেরোপা পাইব ।” শুনিয়া পারিষদেরা ধন্য ধন্য করিতে লাগিল । সুভান-এল্লা ! এত আক্কেল ও হোস ও ফেকের ও হিম্মৎ ও র্যওয়া মরদ ও এলেম পোষত পোষতান বুজুর্গ মধ্যে কেহ কখন দেখে নাই। মাজুমও পরাভূত হইয়া নীরব হইয়া রহিল। তখন আবদুলহামিদ আপন পৌরুষের পরাকাষ্ঠ প্রদর্শনার্থ বলিলেন, “হে ভাই সকল ! কাল বিলম্বে প্রয়োজন নাই –আজ রাত্রেই এ কার্য্য সম্পন্ন করিতে হইবে । এখানে কোথায় বড় লোকের বাড়ী আছে কেহ সন্ধান রাখ ? তখন মেহেরসেখ নামে একজন শিপাহী বলিল, “আমি একটি বড় মানুষের বাড়ী দেখিয়া আসিয়াছি । যুদ্ধকালে বড় পরিশ্রম হওয়ায় আমি দণ্ডক্ষশজন্য