পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३१० दछझडfञ [ আশ্বিন করিতে পারে না ; ইউরোপীয় পণ্ডিতগণের প্রচারিত কারণবাদ হইতেও সেই কথা নিম্পন্ন হইতেছে যে, যাহা ঘটিবার তাহাই ঘটিবে। ব্যক্তিগত জীবন ও সামাজিক জীবন অখণ্ডনীয় কাৰ্য্যকারণসূত্রে বদ্ধ হইয়া রহিয়াছে। ইউরোপ ও আসিয়ার মত বিভিন্ন পথ দিয়া আসিয়াছে বটে, কিন্তু পরিশেষে একস্থানেই আসিয়া উত্তীর্ণ হইয়াছে। এই উভয় মতের মধ্যে ফলে প্রভেদ কোথায় ? আমরা এতক্ষণ আলোচনা কবিয়া যে সিদ্ধান্তে উপনীত হইলাম, এক্ষণে তাহার ফলাফলের বিষয় বিচার কবিয়া দেখা যাউক । জড়জগৎ ও জনসমাজ কাৰ্য্যকারণশ্বস্থলে বদ্ধ ; এই মত হইতে অতি গুরুতর ফল উৎপন্ন হইতে পারে । আলোচিত মতে যদি সকল মনুষ্যেব সন্দেহশূন্ত মুদৃঢ় বিশ্বাস জন্মে, তাহা হইলে এখন জগতে যে প্রকার ভাবে নিন্দ প্রশংসা, ঘৃণা ও শ্রদ্ধার কার্য চলিতেছে ইহা সম্পূর্ণ পরিবত্তিত হইয়া যায়। কেবল তাহাই নহে, অনুশোচনা ও উদ্যোগ বিনাশদশা প্রাপ্ত হয় । মিথ্যাবাদী, প্রতাবক, ব্যভিচারী, নবহন্ত, মনুষ্য যতই কেন ছক্রিয়াসক্ত হউক না, তাহাকে তুমি ঘৃণা করিতেছ কেন ? তাতার নিন্দ কবিবার তোমার কি ? তাহার যখন নিজের বিন্দুমাত্র স্বাধীনতা নাই ; কাৰ্য্যকাবণশৃঙ্খলে তাহার দেহ মন দিবারজনী যখন দৃঢ়নিবদ্ধ, নিয়মচক্রে যখন সে প্রতিনিয়ত ভ্ৰাম্যমান তখন তাহাব অপরাধ কি ? আবার যে পবিত্ৰচেতা সাধু, লোকহিতৱতে শরীর মন উৎসর্গ কবিয়াছেন, তাহারই বা এত প্রশংসা করিতেছ কেন ? তিনিও ত অখণ্ডনীয় নিয়মের দাস মাত্র ? তুমি উত্তর করিবে যে সুন্দর পদার্থ দেখিলে প্রীত হওয়া মামুষের স্বভাব । সুন্দর গোলাব, সুন্দর চন্দ্রমা দেখিয়া কে না আনন্দিত হয় ? ভাল জিনিস দেখিলেই লোকে তাহাকে স্বভাবতঃ ভালবাসে, কুৎসিত বস্তু দেখিলেই তাহাকে স্বভাবতঃ ঘৃণা করে । চন্দ্র স্বাধীন ইচ্ছায় সুন্দর হয় নাই, এবং পঙ্ক স্বাধীন ইচ্ছায় মলিন হয় নাই, অথচ আমাদের এমনি প্রকৃতি যে আমরা একটকে ভাল না বাসিয়া এবং অপরটকে ঘুণ না করিয়া থাকিতে পারি না । মনুষ্য সম্বন্ধেও সেইরূপ । ভাল লোককে আমরা স্বভাবতঃ ভালবাসি, মন্দ লোককে আমরা স্বভাবতঃ ঘৃণা করি। স্বাধীন ইচ্ছা থাকুক না থাকুক তাহাতে কি আসিয়া গেল ? & এ সকল কথা মানিলাম । মন্দলোককে মন্দ অবশু বলিবে, কিন্তু তাহাকে অপরাধী বলিতে পরিবে না ; “বাঙ্গাজুরি” নাই এ কথা অবশ্ব স্বীকার করিতে হইবে ; কেননা তিনিও নিয়মের দাস। যে বসন্তরোগী রোগযন্ত্রণায় ছটফট করিতেছে, যে গলিতকুষ্ঠ রোগপ্রপীড়িত দরিদ্র পথে বসিয়া চীৎকার করিতেছে, উহাদিগকে তুমি ৰূপ কর । লোকের বাড়ী বাড়া কি উহাদের রোগের জস্ত, উহাদের