श्वथ्राङ्गुििन - [ चाहेिन سیا۹۹ আর এ ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের পুথি কামধেনু, আমার মোকদ্দমায় বড় উকীল সাহেব রকম বেরকম আইন বাহির করে আমায় খালাস দিলেন, সুগন্ধি বাবুও ষ্টম্বর কাগজে খুব মোসাবেদা করেছিলেন। সাহেব শুনিলেন আর কহিলেন রঘু নির্দোষী খালাস । বাবাঠাকুর মাষ্টার বাবুকে উদ্ধার করিবেন। তর্কালঙ্কার মহাশয় কহিলেন “হতে পারে—অনেক বিষয়ই যুক্তির উপর নির্ভর ” রঘু কহিল, “আর দক্ষিণার উপর।” তর্কালঙ্কার মহাশয় গর্জন করিয়া উঠিলেন ও চৰ্ম্মপাছকা গ্রহণ করিতেছিলেন কিন্তু নাসের শঙ্কুক ভূমে পতিত হওয়ায় নস্ত ছড়াছড়িতে বস্ত্র তাম্রবর্ণ হইল । আশুবাবু তাহাকে সাম্বন করিয়া বিধানামুসন্ধান করিতে আদেশ দিলেন ও রঘুর দিকে দৃষ্টিপাত করিবামাত্র ভূমে একটি থালি রাখিয়া রঘুবীর নজর দান করিল। আশু । এ কি ? রঘু। মোকৰ্দমা জিতে ঘরে আসিয়াছি। প্রভুর জন্য যৎকিঞ্চিৎ নজর আনিয়াছি । ফল মাত্র— ভৈরব রূমাল উঠাইল ও কহিল এই তোমার এলাইচ দানা—আর বেদান ! এদিকে ঢাকুনী উঠাইতেই রেকাবের একাংশ হইতে ফর ফর করির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শত শত কাচপোকা থালা হইতে উড়িয়া গেল আর এক পাশে বিলাতী ঘেটু বৃক্ষের নব নব রাঙ্গা কুসুমগুলি মাত্র রহিল । অ ! এ কি ? রঘু। এ ঘেটু ফুল আর কাচপোকা অনেক যত্বে জমা করিয়াছিলাম, প্ৰভু, পোকা গুলি মারিয়া আনিয়াছিলাম বাতাসে বঁাচিয়া উঠিল । আ । এ কি তামাসা ? রঘু আজ্ঞা না, উভয় দ্রব্যই ত হুজুরের প্রিয় । এই বিলাতী ঘেটু ফুল যাহাকে হুজুর বেদান কহেন । এ ক্ষুদ্র কাচপোকা যাহাকে বড় লোকে এলাইচ দানা বলেন । আা। এ শিক্ষা তোরে কে দিলে ? র। জটাধারী। এখন হুজুরের মজি হয় ত তর্কালঙ্কার মহাশয়ের টোলে পাঠাইয়া দিই। এত পৰায় নয় ইহার কোন দোষ নাই ।” বাবু মহাশয় ঈষৎ হাস্ক করিলেন, এই সময় একজন অশ্বারোহী পুরুষ দড় বড় করিয়া উপস্থিত হইল। ঐযুত মহাশয় একখানি পত্র পাইয়া পুনরায় তাহার হস্তে অর্পণ করিব মাত্র অশ্বারোহী আবার বেগে উষ্ঠানের বৃহৎদ্বার হইয়া বহির্দেশে খরিত গমন করিল।
