পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९ध्’० श्वश्चां [ चांक्मि করিতে উদ্যত। আমি এমন সময় কহিয়া উঠিলাম, আপনি সকল গুণসমন্বিত— কেবল বর সাজতে হবে কি না,—এক পদের রসাবাতটা—আরাম করা আবশুক । শীতু। আর বাবা চুলগুলি যে পাকিয়াছে, তার ঔষধ জানিস ? তোমরা যে ইংরেজী পড়ছ, ইংরেজীতে অনেক ঔষধ আছে যে শুনি ভাই । আমি কহিলাম ডাক্তারবাবু আমায় বড় ভাল বাসেন, তা সব আরাম করে দেওয়া যাইবে, কেশ কাল হইবে, পদদ্বয় স্বাভাবিক ভঙ্গী পাইবে—দাত ? সব আছে না ? শীতু। বাবা সব আছে, কেবল কসের আটটা গিয়াছে আর সম্মুখের নিম্নপাটিতে একটিও নাই । “এখন যে দাত তৈয়ার হতেছে।” মনে মনে কহিলাম, বনপাশের কৰ্ম্মকার ভিন্ন ও কোদালিদস্ত সংস্কার হওয়া কঠিন । শীতু আবার কহিলেন, তা বাবা ইংরেজ সব পারে, বিবাহের পণ উঠে যাবে না ? বাবা চক্ষুদুটি ত আছে ? “পদ্ম চক্ষু” ( প্রকৃতার্থে গুগলিগঞ্জিত । ) “আবার মহাশয়ের নাকটি যথার্থই বাণী বলিলেও হয় ; ইংবেঙ্গী “হাওইটুজার” আখ্যাধারী ডবল ভোপ বিনিন্দিত বলা যাইতে পাবে ” শীত্ব । দেখতে ভাল ? “ভাল বৈ কি । আয়নাতে মুখ দেখেন নাই ? মহাশয়, পরকালে আপনি যথার্থই লক্ষ গোদান কবিয়াছিলেন, বক্ষদেশ, পৃষ্ঠদেশ সমলোমাকীর্ণ ঐ সৎপুরুষের প্রকৃত লক্ষণ। কেশ কাল করা ও পায়ের ফুলটুকু আরাম করা আমার ভার, টাকার কি খুড় মহাশয় ?” 譬》 শীতু দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া কহিলেন, “তারও কি ভাবনা ছিল, বাবা, গজানন অধঃপাতে যাক ! বার বারবিঘা ব্ৰহ্মত্তর সেই কুচক্রী রাহু এক কলমে গ্রাস করিল, বাজাপ্ত করে নিলে, তা না হলে আর কিসের অভাব।” আমি কহিলাম, “সে গজানন তোমার অভিসম্পাতেই মরবে।” শীতু কহিলেন, “তার মরণ আছে ? মলে ব্রহ্মস্ব হরণ কে করবে—সে অন্ধ হয়ে পাপ ভোগ করবে।” আমি কছিলাম, “বৃথা কথার সময় নাই, উদ্যোগ কি আছে—” “তোমার পিতৃপ্রসাদে আমি নিসেম্বল নষ্ট, যখন মোকাম চয়, জেলায় গেছলাম, দুইরকমই গান অভ্যাস করেছিলাম, তুই দলেই গেয়েছি,-দুই দলেই টাকা লয়েছি, যার কাছে যেমন তার কাছে তেমন—এই দেখ কোমরে গেজে, এখন কিছু টাকা নগদ মজুত আছে, আর নাখেরাজ পুষ্করিণীর অর্ধেক অংশ আছে তাহ