ડશનલ ] ভাগৰবিজয় వbు করিতে পারিতাম, কিন্তু ব্রাহ্মণ অবধ্য ; অতএব ইহার লক্ষ্য দেখাইয়া দিন । এদিকে পদ্মা আসিয়া ভার্গবের উপর শিবের হুকুম জারি করিয়া গেল। পরশুরাম রামচন্দ্রকে বলিলেন, আমার স্বর্গমার্গ রোধ কর । তাহাই হইল । একাদশ সর্গে উভয় রামে প্রীতিসংস্থাপন হইল । তারপর ভার্গব সাধারণ সমক্ষে ক্ষত্রবধ বাসনা পরিত্যাগ করিলেন, রাঘবকে আলিঙ্গন করিলেন, ক্ষত্রবধতেজ: সমৰ্পণ করিলেন, আশীৰ্ব্বাদ করিলেন এবং শেষে প্রস্থান করিলেন। দশরথ আনন্দিত হইলেন ; সীতা প্রফুল্লিতা হইলেন—সকলেই উল্লাসিত হইল। দ্বাদশ সর্গে সকলের আনন্দ, বাদ্য, নৃত্য, গীত, বন্দিবৃন্দের বন্দনাসঙ্গীতিকা, দেবগণের স্বস্থানে প্রস্থান, আকাশ-বাণী, এবং গ্রন্থকারের মামুলি আত্মপরিচয় ;– কাজের কথা প্রসঙ্গাধীন কথা, নাই বলিলেই হয় । ত্রয়োদশ সর্গে সকলের অযোধা প্রবেশ । এই সর্গে পথিপার্শ্বস্থ সৌধরাজিতে পুরন্ধীবর্গের বিবিধ বিভ্রমবিচেষ্টা পাঠ করিয়া সংস্কৃতজ্ঞ পাঠকের কালিদাসকে মনে পড়িবে । বাস্তবিক এই স্থলটি কালিদাসের অনুকরণ ; স্থানে স্থানে অবিকল অনুবাদ । এইখানেই কাব্য শেষ হওয়া উচিত ছিল । ইহার পর তিন সর্গ কেবল প্রকৃতিবর্ণনা এবং অন্যান্য অপ্রাসঙ্গিক কথা । এ তিন সর্গ একেবারে ছাটিয়া ফেলিলেও মূল কথার কোনই ক্ষতি হয় না । আমরা সমালোচ্য গ্রন্থের যতটুকু পরিচয় দিয়াছি তাহাতেই পাঠকবর্গ অবশু বুঝিয়াছেন যে গ্ৰন্থখানি এত বড় হুইবার কোনই প্রয়োজন ছিল না। শেষ তিন সর্গ, দ্বাদশ সর্গ, তৃতীয় সর্গ, এবং প্রথম সর্গ একেবারে বাদ দেওয়া যাইতে পারে। অন্যান্য সর্গেরও অনেক অংশ ত্যাগ করা যায় ; এবং প্রত্যেক সর্গেরই শেষ ভাগ— আত্মপরিচয় এবং অনুগ্রহভিক্ষা—পরিবর্জনীয়। যে সকল উপায়ে গ্রন্থকলেবর স্ফীত হইয়াছে, তদবলম্বনের অর্থ আমরা খুজিয়া পাই না। নিসর্গ বর্ণনাতেই গ্রন্থের প্রায় চতুর্থাংশ নিয়োজিত। নিসর্গ বর্ণনা মন্দ নহে, কিন্তু কেবল প্রাতঃকাল বর্ণনা করা একটা সম্পূর্ণ সর্গ গ্রন্থকারের কুরুচির পরিচায়ক, পাঠকের পক্ষে বিরক্তিজনক এবং সমালোচকের পক্ষে—মাবাত্মক । তবু নিসর্গবর্ণনা কাব্যের একটা অক্ষ বটে, কিন্তু কাব্যসূচনা, বাদেবতার আরাধনা, ভারতীপ্রার্থনা, কল্পনার উপাসনা, বাল্মীকির কবিজ্যেষ্ঠৰ, কলিদাসের মহাকবি, মাইকেলের পরলোক, অকালমৃত্যুজন্য শোক, ভর্তৃহরির স্তব, জয়দেবের মহিমাকীর্তন, ভবভূতির বন্দন—এ সকলের দ্বারা কাব্যের যে কি উপাদেয়ত বৃদ্ধি হইতে পারে, আমরা সর্গমর্ত্যরসাতল খুজিয়া পাই না। '• ‘t.
