পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৩১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Φοίο बछझझमि *א [ च्यांचिन প্রতি সর্গের শেষেই একবার পণ্ডিতমণ্ডলীর কাছে “সগল-বসনে মুদি যোড় কর” করা হইয়াছে । এ সম্বন্ধে আমরা এই বলিতে চাই যে, যিনি এত বড় একখানি কাব্য লিখিতে বসিয়াছেন, যিনি বাদেবীর কাছে “কবিত্ব বিমল নভে মাধ্যন্দিন ভানুমান” হইবার প্রর্থনা করিয়াছেন, তাহার একটু আত্মাদর, একটু অহঙ্কার থাকা উচিত। নম্রতা, বিনয়, এ সকল মন্দ নহে, কিন্তু কথায় কথায় কাকুতি মিনতি করা ভাল দেখায় না। যার তার হাতে পায়ে ধরিতে গেলে সম্রম খাকে না । গ্রন্থকার আপনি স্বীকার করিয়াছেন যে তিনি মাইকেলের চেলা ; কিন্তু বাস্তবিক তাহা নহেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি জয়দেবের চেলা ; জয়দেবের সেই ললিতলবঙ্গ-লতা-পরিশীলন-কোমল-মলয়-সমীরের ন্যায় মধুর কোমল কান্ত পদাবলী, আর গোপাল বাবুর এই দাত ভাঙ্গ শব্দবিন্যাস তুলনা করিলে আপাততঃ এ কথায় অনাস্থা হইবার সম্ভাবন, কিন্তু একটু বুঝিয়া দেখিলেই ইহার সারবত্ত হৃদয়ঙ্গম হইবে । জয়দেবের ন্যায, গোপাল বাবু বিলক্ষণ কল্পনাশালী ব্যক্তি ; এবং জয়দেবের ন্যায় গোপাল বাবুর কল্পনা মাগৈ কপ্রোহিত—যত কারিগরি বাহাজগৎ লইয়া; অন্তজগতের উপর বড় একটা দৃষ্টি নাই। সূৰ্য্যরশ্মিৰ প্রফুল্লতা, বসন্তপবনের মধুরতা, সায়াহ্নগগনের সৌন্দর্য্য, নবকুমুমিতা লতার সৌকুমাৰ্যা, এ সকল চিত্রিত করিতে গোপাল বাবু বিলক্ষণ পারগ—জয়দেব অভ্রান্ত । কিন্তু প্রণয়ের উন্মত্ততা, নৈরাপ্তের কাতরতা, শৌর্য্যের মহত্ত্ব, অনুরাগের চাঞ্চল্য, এ সকল চিত্রিত করিতে গুরুশিষ্য কাহারও তুলি চলে না । জড়জগতের ভীম ভঙ্গী সকল চিত্রিত করিতে জয়দেব চেষ্টা করেন নাই ; গোপাল বাবু চেষ্টা করিয়াছেন, কিন্তু কৃতকার্যা হয়েন নাই । জয়দেব আত্মশক্তি বুঝিতেন, গোপাল বাবু হয় ত বুঝেন না ;–জয়দেব গুরু, গোপাল বাবু চেল । অন্তর্জগতের উপর দৃষ্টি না থাকিলেও বাহ্যপ্রকৃতির সঙ্গে লেখকের বিলক্ষণ সহানুভূতি আছে এবং নিসর্গ সৌন্দর্য্য তিনি প্রেমিকের চক্ষে দেখেন—যে চক্ষে ওয়ার্ডসওয়ার্থ দেখিতেন সেই চক্ষে গোপাল বাবু দেখেন—অনেক ভঙ্গী, যাহা অপ্রেমিকের চক্ষে পড়ে না গোপাল বাবুর চক্ষে পড়ে, এবং তিনি তাহাতে মুগ্ধ হইয়া যায়েন—শতমুখে, সহস্ৰমুখে তাহা ব্যক্ত করেন । সামান্ত কথা লইয়া কেন এত আড়ম্বর, তাহা প্রেমিক যে সে বুঝিবে—সকলে বুঝিবে না। অস্তজগতের উপর দৃষ্টি না থাকিলে যে দোষ ঘটে, তাহা এই গ্রন্থেও ঘটিয়াছে— একটা চরিত্রও উত্তমরূপে সংরক্ষিত হয় নাই। দশরথকে দেখ । যখন ভার্গৰ সেই জর্জয় কাৰ্ম্মক রামচন্দ্রের হস্তে দিলেন, তখন রাজা দশরথ পুত্রবিয়োগাশঙ্কায় অত্যন্ত কাতর হইলেন—অনেক বিলাপ করিলেন—শেষে মূৰ্ছা গেলেন। রাজা দশরথ স্বয়ং বীরপুরুষ, তাহার মূর্ছা যাওয়া ভাল হয় নাই। একটু ভয়, একটু জাশৰ, হয়