পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|3||R\Q glaß## لاستيــــسيمهسېمحسصسعتممLهم سمستعzE C প্রথম প্রেস্তাব 历* শিক্ষাসভার মেম্বর ঐযুক্ত বাৰু তারিণী প্রসাদ ঘোষ বি,এ, ইংরেজিতে একখানি গ্রন্থ লিখিয়াছেন । শিক্ষাবিভাগের একজন কৰ্ম্মচারী কয়েক মাস হইল প্রস্তাব করিয়াছিলেন যে, বিবাহিত ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে না দিলে বাল্যবিবাহ কতক নিবারণ হইতে পারে । এই প্রস্তাবনার মূল কয়েকজন বাঙ্গালি। তারিণী বাৰু সেই সকল বাঙ্গালিদের বুঝাইবার নিমিত্ত গ্রন্থ লিখিয়াছেন । কিন্তু তাহারা বুঝিবেন কি না সে বিষয়ে আমাদের বড় সন্দেহ আছে । তাহারা মনে করেন তাহাদের মতামত র্তাহাদের নিজের । কিন্তু বাস্তবিক তাহা নহে । তাহারা অন্যের অমুগামী । বড়লোকের মত যত দিন না ফেরে তত দিন র্তাহাদের মত ফিরিবার আশা করা বৃথা । তাহাদের স্থিরবিশ্বাস যে বাল্যবিবাহ আমাদের অনিষ্ট করিতেছে। হয় ত বাস্তবিক অনিষ্ট করিতেছে । কিন্তু ঠাতাদের এ বিশ্বাস ইংরেজ হইতে । ইংরেজদের মধ্যে বাল্যবিবাহ চলিত নাই, বাঙ্গালিরা মনে করেন যে বাল্যবিবাহ অনিষ্টকর বলিয়া ইংরেজদের মধ্যে তাহা চলিত নাই । ইংরেজরা বলেন যে বাল্যবিবাহে সন্তান স্বল্পজীবী হয়, জনকজননীর দেহু রুগ্ন হয় । বাঙ্গালিরা মনে করেন তাহা আমরা স্পষ্ট দেখিতেছি । কিন্তু স্পষ্ট দেখার কথা কতক সন্দেহের বিষয় । মজুর সময় অবধি পশ্চিমরাজ্যে বাল্যবিবাহ চলিয়া আসিতেছে কিন্তু কেহু কখন ইহার কুফল স্পষ্ট দেখেন নাই। . তাহারা বলেন ইহার কুফল বাঙ্গালায় অতি স্পষ্ট, অধিবাসীর দিন দিন দুৰ্ব্বল ও স্বল্পজীবী হইয়া যাইতেছে। দুৰ্ব্বল দিন দিন হইয়া যাইতেছে কি না তাহা আমরা জানি না কিন্তু বাঙ্গালিরা যে কুৰ্বল তাহার আর সন্দেহ নাই। হিন্দু মুসলমান ফিরিঙ্গী যে জাতিই পুরুষানুক্রমে বহুকাল বাঙ্গালায় বাস করিতেছেন, তাহাদের মধ্যে বাল্যবিবাহ থাক আর নাই থাক, সেই জাতিই হ'বল হইয়াছে। বাঙ্গালার গরু, বাঙ্গালার ছাগ, বাঙ্গালার ঘোটক