૭૨ના ] ইয়াং বাঙ্গালির সামাজিক বুদ্ধি , Oes: সকলই খৰ্ব্বকায়ও তুৰ্ব্বল । চতুস্পাদিগের এই দৌৰ্ব্বল্য কোথা হইতে আসিল । বাল্যবিবাহের দোষে নহে । বাল্যবিবাহের মত সমর্থন করিবার নিমিত্ত আমরা এই সমালোচনা করিতে বসি নাই। লিখিতে গিয়া এ বিষয়ে ভ্রমরলেখকের মত স্মরণ হওয়ায় কয়েকটি কথা ভ্রমর হইতে উল্লেখ করিতেছিলাম। অপুষ্ট দেহে সস্তান উৎপাদিত হইলে সস্তান দুৰ্ব্বল হইবার ষে সম্ভাবনা তাহা সত্য। অনেকেই জানেন বৃক্ষাদির বাল্যবিবাহ আছে। অনেক স্থলে মধুমক্ষিক তাহার ঘটক। মক্ষিকার পুরুষ-বৃক্ষ হইতে রেণুরূপী বীজ অজ্ঞাতে বহন করিয়া স্ত্রী বৃক্ষের ফুলে মধু সংগ্ৰহ করিতে বসে ; তাহাদের পক্ষ হইতে রেণু যদি মধু সংস্পর্শ করে তাহা হইলে বালিকাবৃক্ষের গর্ভ হয় অর্থাৎ কড়ায় বা গুটি বাধে, যে সকল মালি বাল্যবিবাহের বিরোধী তাহারা ইহা নিবারণ করিবার নিমিত্ত বালিকাবৃক্ষের মুকুল ভাঙ্গিয়া দেয়। কিন্তু বনে মালি নাই, তথায় বলপূর্বক বৃক্ষের গর্ভশ্রাব কেহ করায় না, কাজেই বালিকাবৃক্ষের ফল ধরে। ফলগুলি ক্ষুদ্র অবস্থায় অধিকাংশই ঝরিয়া যায় কিন্তু তাহাতে বনের কোন ক্ষতি হয় না। বৃক্ষেরও অভাব থাকে না ফলেরও অভাব হয় না । কিন্তু তথাপি মধুমক্ষিকাবা বড় গুরুতর অপরাধী ; তাহাদের প্রবেশিকা পরীক্ষার বিষয় শীঘ্ৰ বন্দোবস্ত হইবে অর্থাৎ তাহাদের পাখা ঝাড়া না লইয়া তাহাদের আর পুষ্পে প্রবেশ করিতে দেওয়া হইবে না ! নারিকেল সম্বন্ধে বোধ হয় সকলেই দেখিয়াছেন যে বালিকাবৃক্ষের সুপক্ক নারিকেলের সারভাগ অতি সামান্ত ও অপুষ্ট। যত্নে গৃহে রাখিলেও অন্ত বৃক্ষের নারিকেলের স্তায় তাহা দীর্ঘকাল থাকে না, শীঘ্ৰ পচিয়া যায়। এই জস্ত অনেকে বলেন বৃক্ষের প্রথম অবস্থায় নারিকেল না হইতে দেওয়াই ভাল। ভাল তাহার সন্দেহই নাই। স্বভাবের কুনিয়ম অনেক আছে, তাহ সমুদয় সংস্কার করা নিতান্ত আবশ্বক। যখন ইংরেজি অধ্যয়ন হইতেছে তখন পৃথিবীর নিয়মাবলী যে শীঘ্র সংশোধন করিতে পারা যাইবে এমত ভরসা অনেকে করিয়া থাকেন । র্যাহারা এরূপ ভরসা করেন র্তাহারা প্রকৃত সাহসী ও অনেক সময় দেখা যায় বাস্তবিক কাৰ্য্যপটু। সকল দেশেই এরূপ কৃতকৰ্ম্ম লোক আছে ; তবে কোন দেশে অধিক, কোন দেশে অল্প। বোধ হয় ফ্রান্স ও মার্কিন দেশে সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক। সমাজ ভাঙ্গা গড়া ইহাদের প্রধান কাৰ্য্য। কোন সমাজ প্রধাই ইহাদের মনে ধরে না। কি পরিবর্তন করিবেন এই উহাদের সতত চেষ্ট৷ অনেক সময় সেই চেষ্টায় গুরুতর অনিষ্ট ঘটে। কারণ সমাজতৰ বুধিতে অনেক বিলম্ব আছে।
