बजमश्रfञ [ আশ্বিন پناه وی হঙ্গেরী দেশের এই দলের লোকেরা একসময় বিবেচনা করিলেন লোকের যে দৈন্যদশা দেখা যায় তাহা কেবল বিবাহের দোষে । যাহাদের বিশেষ ধন সম্পত্তি নাই, তাহারা বিবাহ করিলে সন্তানসস্তুতি কষ্ট পায়, সন্তান প্রতিপালন কবিবার নিমিত্ত তাহাবা চুরি পর্যন্ত কবে । অতএব দীনছ খাঁর বিবাহ বন্ধ করা নতাস্থ আবশ্যক। এই সম্বন্ধে মহা চীৎকার আরম্ভ হইল, আমাদের দেশে কয়েকজন বাঙ্গালি বাল্য বিবাহ লইয়া যেরূপ চীৎকার আরম্ভ করিয়াছেন হঙ্গেরীর যুবারা সেইরূপ কোলাহল কবিতে লাগিলেন । শেষ, আইন হইল যে লোকে ধনবান না হইলে বিবাহে অধিকারী হইবে না। যুবাদের আর. আহলাদেব সীমা রহিল না। তাহারা মনে কবিতে লাগিলেন যে এই আইনের দ্বারা তাহাদের রাজ্যের সকলেই ধনবান হইবে । বাভেরিয়া রাজ্য এইবার সৰ্ব্ব প্রধান হইবে । এবং তাহাদের কাত্তি জগৎব্যাপ্ত থাকিবে । কিন্তু দুরদুষ্টবশত: এ সকল কিছুই হইল না অন্ন দিনের মধে অতি বিপরীত ফল ফলিল । বাজাজ্ঞায় নিৰ্দ্ধনের আর বিবাহ হইল না সভা, কিন্তু তথাপি তাহাদের সস্তান হইতে লাগিল । সে সকল অবিবাহিত অবস্থার সন্তান । এক মিউনিচ নগরে যত সন্তান জম্মিল তাহার অৰ্দ্ধেক জারঞ্জ । এইরূপ ঘটনা অনেক আছে । সংস্কার করিতে গিয়া অদূরদর্শী লোকেরা সমাজেব এইরূপ অনেক অনিষ্ট ঘটাইয়া থাকেন । তাহা বলিয়া উrহাদের নিন্দ করি না । কেহই এ জগতে অভ্রান্ত নহেন, বরং উাহারা আপনাদিগকে অভ্রান্ত বিবেচনা করিয়া কাৰ্য্য করেন এই ঠাহাদের এক বিশেষ গুণ । আপনাকে ভ্রান্তু মনে কবিয়া কাৰ্য্য করিতে গেলে একাগ্রতা জন্ধুে না । এই শ্রেণীর লোক, ভালই হট্টন মন্দই হউন, বাঙ্গালায় বড় নাই। এখানে আর এক শ্রেণীর লোক আছেন, ইংরেজেরা তাহাদের সচরাচর ইয়াং বেঙ্গাল বলিয়া থাকেন । র্তাহারাই মনে করেন যে যখন ইংরেজি অধ্যয়ন আরম্ভ হইয়াছে তখন স্বভাবেব যত কুনিয়ম দেখা যায় সে সমুদয়ের উচ্ছেদ হুইবে । তাহারাই মনে করেন প্রবেশিকা পরীক্ষা প্রজাপতির দ্বারস্বরূপ ; তথায় পাহারা বসাইতে পারিলে বাল্যবিবাহ সাগরপারে পলাইবে । আসল কথা, তাহারা নিজে বিবেচনা করিয়া কোন কাৰ্য্য উদ্ভাবন করিতে পারেন না । যাহা কিছু ঠাহারা করেন সকলই অন্তের অনুকরণ মাত্র, অনুকরণ মন্দ নহে, তদ্বারা উন্নতিসাধন হয় কিন্তু তাহাদের চিন্তাশীলতা এতই অল্প যে কোন বিষয় অনুকরণীয় আর কোনটি বর্জনীয় তাহ র্তাহারা প্রায় একেবারে বুঝিতে পারেন না, এই জন্য সচরাচর তাহার সাহেৰদিগের নিকট ঘৃণিত।
