পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>રાન્ડ ) * बाजानिब्र बछ चूडम ष* * woo? তুমি বেদ—তোমার কথাই সকল ধর্মের উপর ধৰ্ম্ম । তুমি ধৰ্ম্মশাস্ত্র—মন্বত্রিবিষ্ণুহারাত প্রভৃতিকে তামাদি করিয়া তুলিয়াছি, এখন তোমার বিধানমতেই চলিব। তুমি তন্ত্র—উচ্ছল্পের মূলমন্ত্র । তুমি পুরাণ–অধিকাংশই বাজে কথা, অনেক মিথ্যা কথা, কাজের কথা খুজিয়া পাওয়া ভার। তুমি সাংখ্য—প্রকৃতিই মূল তত্ত্ব। তুমি বেদান্ত—সব মায়ার মোহ । তুমি স্যায় – অন্ততঃ কলহপটুতায় । তুমি পাতঞ্জল—তোমা বৈ আবার যোগ কি ? তুমি মীমাংসা—তা কেবল দর্শন বলিয়া কেন, দর্শনে স্পর্শনে, আস্বাদনে, তুমি যাই বল তাই নিম্পত্তি, যে আপত্তি করে তার কম্বক্তি । তুমি ক্ষিতি—কেন না প্রকৃত পক্ষে তুমিই বসুন্ধরা—যে হাসি হাস, যে কথা কও, যে চাহনি চাও কুবেরের ভাণ্ডার বেচিয়া দিলেও তার মূল্য হয় না। তুমি অপ, কেন না তুমি তরলমতি । তুমি তেজ:—বালিকাবিদ্যালয়ের প্রসাদাৎ । তুমি মরুং, কেন না শব্দ বহন করা তোমার ধৰ্ম্ম । তুমি ব্যোম—কত রঙ্গেই যে থাক তার ঠিকানা পাই না । এ স্তবটা হিন্দুমতে হইল। ব্রাহ্মেবা হয়ত উজ্জন্য কিঞ্চিৎ মনক্ষুন্ন হইবেন। কিন্তু আমবা কাহাকেও বঞ্চিত করিব না ; ব্রাহ্মমতেও একটা স্তোত্র দিতেছি । আমার ইচ্ছা সকলকেই অন্ধকার হইতে আলোকে লইয়া যাই ; চক্ষুর দোষে যদি কাহারও আলো সাধারি লাগে, আমি কি করিব ? স্তোত্র যথা,— হে সৰ্ব্বময়ি, এই পরিদৃশ্যমান জগৎ নিরস্তর তোমার অপার মহিমা ঘোষণা ' করিতেছে । এই নিখিল ব্ৰহ্মাও তোমার মঙ্গলময় ইচ্ছা পরিপূর্ণ করিতেছে। বায়ুর সৃষ্টি তোমার গ্রীষ্ম দূরীকরণ করিবার জন্য ; মৃত্যুর সঞ্চার তোমার মাথার উকুন মারিবার জন্য স্বর্যোর উদয় তোমার ভিজা কাপড় শুকাইবার জন্ত , চশ্রের বিকাশ তোমার শোবার ঘরের বারান্দায় বাধা রোশনাই করিবার জন্য ; ফুল ফুটে, তুমি খোপায় পরিবে বলিয়া ; ফল পাকে, তুমি ঐউদরে দিবে বলিয়া ; হে পরম সৎ, আশীৰ্ব্বাদ কর, রাত্রে যেন মুনিদ্রা হয় । তুমি অনন্ত, কেন না তোমার অস্ত পাওয়া ভার। তুমি সৰ্ব্বশক্তিমতী, কেন না তুমি না করিতে পার হেন কৰ্ম্ম নাই। তুমি একমেবাদ্বিতীয়াং কেন না তোমার যোড়া নাই—হে সশরীরে মুক্তি প্রদায়িনি, পাপীর অপরাধ লইওনা, আমি কথায় কথায় অনুতাপ করিব ;–অনুতাপ আমি খুব করিতে পারি, এক প্রকার সিদ্ধবিদ্য বলিলেই হয় । তুমি সত্যস্বরূপ, কেন না তোমা বৈ সব মিথ্যা। তুমি যে অমৃতস্বরূপ তাহা আর বলিতে হইবে কেন ? তুমি অতি গুরু—নতুবা লোকে ভূতের