woS बछवध्{ञ * [ কাৰ্ত্তিক আ । বল কি ! পরের বিপদ চিন্তা করিতে আছে ; অনিষ্ট সকলেই ঘটাতে পারে, সংসার ত অনিষ্টপূর্ণ, মঙ্গলবৰ্দ্ধন করাই ধৰ্ম্ম । গ। তবে হাকিমের সহিত দেখা করুন, তিনি এলেন, কি আগতপ্রায় । আ । দেখা করিয়াই বা ফল কি দাড়াবে, বলি কি, আবার তিনি না বুঝেন যে, তাহার কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্মে প্রতিরোধ করিতেছি, বড় কঠিন কাৰ্য্য। তবে দয়া ? বিচারকার্য্যে কি দয়া মিশান যায় না— ভদ্রের মান রক্ষা করিতে পারেন না ? হাকিম পৌছিলেই যেন সংবাদ পাই। হাকিম হলেই কি দয়া বিসর্জন দিতে হয় ? পরের সম্মানে উপেক্ষা করিতে হয় ? এই কথার পর উভয়েই স্তব্ধ, উভয়েই গম্ভীরভাবে চিস্তা করিতেছেন, পাখার স্বন স্বন ভিন্ন আর কোন শব্দ নাই, এমন সময় কি একটি কটুকটু শব্দে নিস্তব্ধতা ভঙ্গ হইল, “কিসের শব্দ রে ভৈরব ?” ভৈরব কি উত্তর দিবে, শেষ বলিল— এই জটাধারী বাবু ঠাকুর বাটীর প্রসাদ খাইতেছেন । ভৈরব এবার মজালে ! বাৰু মহাশয় পশ্চাদ্দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া দেখিলেন, জটাধারী শায়িত। আমাকে উঠে বসিতে হইল, কিঞ্চিৎ তিরস্কৃত হইলাম, সন্ধ্যার পর নিদ্ৰা ? পাঠাভ্যাস কখন হুইবে—ভগবান বিপদের বন্ধু ! আমার মনে পড়িল, হউক না হউক, বলিয়া দিলাম, আজ যে শনিবারের রাত্রি । সকলে নিরুত্তর । আশু । এখন কেমন পড়া হইতেছে ? কহিলাম—কিছুই নয়। মাষ্টার পাগল হইয়াছে। আশুবাবু জিজ্ঞাসিলেন, কিসের পাগল ? ভৈরব কহিল, শীতু ক্ষেপা সুন্দরী গোয়ালিনীর সহিত কথা কহিয়াছিল বলিয়া তুমুল যুদ্ধ করিয়াছে। © ইহা গঙ্গাননের কর্ণে অতি সুসস্বাদ । সময় পাষ্টয়া কহিলেন, এখানে ইহাদের আর পড়ার আবশ্যক নাই, হেয়ার স্কুলে বা ব্রাঞ্চ স্কুলে পড়াইলে ভাল হয় । আশুতোষ বাৰু কিঞ্চিৎ ভাবিয়া কহিলেন “সকলকে ? যাহারা বার বৎসরের উপর বয়ঃপ্রাপ্ত হইয়াছে তাহাদিগকে পাঠান যাইবে । তোমার নীলমণিকেও পাঠাও, সেও ত প্রায় চতুর্দশবর্ষীয় হইল।” গজানন বিপদ মনে করিলেন, প্রকাশ্বে কহিলেন, সে নিতান্ত শৈশব— ভৈরব কহিল, মহাশয় নীলমণি বাবুকে পাঠাইলেই ত লক্ষ্মী বিকে সঙ্গে দিতে হুইবে ? গজানন একটি দীর্থ নিঃশ্বাস পরিত্যাগ করিলেন । * * ভৈরব আবার কহিল এবার নীলমণির গোষ্ঠযাত্রা ।
