পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৩৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>શનલ ] जल्लेiथांग्रेौद्ध ८ब्राजञांभक - wego মুহূৰ্ত্তমধ্যে বাবুমহাশয়ের কাঞ্চননিভ সুগঠনশালী অঙ্গ শয্যোপরি শোভমান হইল । সকলেই জানিত যে বাবুমহাশয়ের একটা সোণার খল লুড়ি ছিল, প্রতিদিন প্রাতে দুই ঘণ্টা পৰ্য্যন্ত মধু দিয়া ঘৰ্ষিত হইত ও ঐ মধুসংযুক্ত স্বর্ণ, বাবুমহাশয়ের দৈনিক ভোজ্য ছিল, তাহাতেই তাহার রঙ্গে সোণার আভা । বাবুমহাশয় গদির উপরে উপবেশন মাত্র ভৈরবকে তলব ও তালবৃন্তের পাখা হেলাইবার হুকুম হইল। আজ সবার শীতামুভব তবু বাবুমহাশয়ের এক একটা পাখা চাই, সকলে জানিত, তাহার । গরম ধাত, কেহ কেহ কহিত সে কেবল টাকার গরমী । ভৈরব তাকিয়ার পশ্চাদ্ভাগে কিঞ্চিৎ অস্তরে বসিল । এক হাতে পাখা হেলাইতেছে ও অার এক হস্ত হেলাইয়া মুখভঙ্গীর সহিত সকলকে কহিতেছে “যা, বলে দেব এখনি দেখবি।” আমি গৃহের দ্বারে এক উকি মারিলাম। বাবুমহাশয় কয়েকটা ফুল হস্তে আত্মাণ লইতেছেন, ভৈরব আমাকে দেখিয়া চক্রাকারে অঙ্গুলি ঘুরাইল ও ঠাকুরবাটার দিকে যাইতে ইঙ্গিত করিল। আমি ঠাকুরবাটতে গেলাম, দেখিলাম রাধাবল্লভের সমস্ত দিনের বাহান্ন ভোগ বিতরণ হইতেছে, শীতল ভোগে তাদৃশ সুস্থা ছিল না, লুচি মোগু, চাল ছোলা ভাজা কতকট লইয়া বৈঠকখানার প্রতি আবার ধাবমান। আমার মন সেইখানেই রহিয়াছে, শুনিয়াছি দেওয়ানজী আগতপ্রায় অনেক পরামর্শ হইবে । • এ দিকে রাঙ্গা ঠাকুরুণ আমাকেই রিপোর্টার বাহাল করিয়াছেন, তাহার" এজলাশে এক একবার সব কাছারীর বিচারের আলোচনা ও সুখ্যাতির মীমাংসা হইত। আমি সত্বর ভৈরবের নিকট সমাগত, ক্ষণকাল মধ্যে গজানন গৃহমধ্যে বিছানার কাঠাদ্ধ স্থান যুড়িয়া উপবিষ্ট । বাবুমহাশয় কহিলেন, “শিবসহায়ের কি বিপদ শুনিতে পাই ।” গজানন সমস্ত কথা ব্যক্ত করিলেন, কেবল সুন্দরী গোয়ালিনীর পালাটি গোপন রাখিলেন। বাবুমহাশয় । তবে শিবসহায়ের বড় বিপদ, আদালতে কি তলব হবে ? গ। হাকিমের একান্ত জেদ । আ । এখন উপায় ; তখন বিরুদ্ধাচরণ করেছিল, কিন্তু সে কথা ত আমার এখন মনে রাখা আর উচিত নয়। সে সময়ও গত, সে শক্রতাও গত, এখন রক্ষা করা চাই, উদ্ধারের উপায়। 緣 গ। উপায় মহাশয়, শিবসহায় ইহার যে কষ্ট দেয়—ন্মরণ আছে-- আ। সে কথা স্মরণ করে লাভ, সে শত্রু হউক, মিত্র হউক, এখন বিপজগ্রস্ত, উদ্ধার করা চাই । 警 গ। এত উদারতা কেন? একটু পাকে পড়ব, ই এক ভেউ চেউ খাক, তুই একটা ঢেউ ; বড় বড় নয়। * *