পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৩৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૦૪૭ . ” * * बछमत्रब [ কাৰ্ত্তিক কহিলেম, বুদ্ধ হায়দর বক্স শিরঃপীড়ায় অস্থির, তাহাকে দাড়িম্বকুসুমরেণুর নস্ত লইতে ও আহারাস্তে একটি বস্ত্ৰ দিয়া শিরোবন্ধনের ব্যবস্থা কহিয়া দিলেন। মির্জা বুড়ো আমশূলে কাতর, রাত্রে উষ্ণ জলে ঘটিম দিয়া পরদিন প্রাতে সেই জল পান করিতে কহিয়া দিলেন। যাহার শিশু সন্তান শ্লেষ্মাভিভূত তাহাকে রসাসিন্ধু নাম দিয়া রাঙ্গ। মাটার বটীকা দিয়া বিদায় করিলেন ও যাহার শিশু দুধ তুলিয়াছে তাহাকে দোতলবাসী প্রদীপের তৈল জল সেবন করিতে আদেশ করিলেন । সকলে চলিয়া গেলে কেবল সাহেবানী গোয়ালিনী একপাশ্বে কোন চিন্তায় নিমগ্ন হইয়া বসিয়া রহিল। চিকিৎসা বিভাগের কার্য্য শেষ হইল, এখন শিক্ষা বিভাগে মনোনিবেশ হইল । দত্তজ মহাশয় আজ বেত্রপাণি না হইয়া ধুতুরা ফল হস্তে কাৰ্য্যারম্ভ করিয়াছেন। সৰ্ব্বাঙ্গ গাত্র কণ্ডুতে পূর্ণ, তজ্জন্য একটি ধুতুরাফলের কণ্টকাগ্রগুলি ঘৰ্ষিত করিয়া আপন লম্বা হস্ত ও পদদ্বয় সেই ফলে বিঘটিত করিতেছেন । প্রথমে জটাধারীর প্রতিই তাহার সুদৃষ্টি । আজ আমার সুপ্রভাত, কেন না আজই একবার দত্তমহাশয়ের মুখে প্রিয়বাক্য শুনিলাম। আজ পাঠশালায় দণ্ডবিধির সব জ্বালা ভুলিয়া শীতল হইলাম—আজ দত্তজ এত মিষ্টভাষী কেন ? তিনি শুনিয়াছেন আমরা সম্বর তাহার শাসনাধীনস্থ হইতে মুক্ত হইব—আমরা কালেজে যাইব । o দত্তঙ্গ আজ মিষ্টভাবে ( যত মিষ্ট তিনি হইতে পারেন ) মধুরভাবে কহিলেন “ওহে গঙ্গাধর ভায়া তুমি কালেজে যাবে শুনিতেছি । নগরে থাকিবে, মধ্যে মধ্যে যেন পত্র লিখিলে উত্তর পাই, আমার জন্য একজোড়া চটি জুতা ও নস্তের ডিপা একটি পাঠাইবে । আর কি বলিব ?” আমি কহিলাম মহাশয় “বাজারে বলে বেশ ছাচি বেত পাওয়া যায় ! ! দেশী গুলা মহাশয়ের হস্তে অতি শীঘ্র শীঘ্ৰ ভাঙ্গিয়া যায়!” “ভায়া আমায় পরিহাস করিতেছ ! এই বেতের গুণ—" বলিয়া বেত গ্রহণ করিয়া তুই একবার হেলাইলেন । আমি অভ্যাসগুণে চমকিয়া স্থানাস্তরে বসিলাম । “ভায়া ভয় নাই—আমি আর তোমায় মারিব না এই বেতের গুণ সময়ান্তরে জানিবে। যদি জমিদার হও যেদিন গোমস্তার হিসাবে ভুল ধরিবেযদি মহাজন হও যেদিন অধীনস্থ চৌধুরীর চুরি নিবারণে সক্ষম হুইবে—যদি বিচারক হe যেদিন আমলা কি মামলাবাজের তঞ্চক বুঝিতে পারিবে সেই দিন লাউসেন দত্তের নামও স্মরণ হবে, বেতও স্মরণ হবে--ভায়া এমন যে মুমিষ্ট ইক্ষুদণ্ড ত ঘানিতে না ঘুরালে রসও দেয় না, গুড়ও হয় না—তেমনি বেত নী খাইলে বুদ্ধি টসটসে হয় না। এই যে সমানি শির শিরসানি ঘনানি বিরলানিছ মুক্তার স্তায় তোমার অক্ষর, এই যে কড়ানে, সটকে, বুড়কে, আনা মাস কাঠ“কলি, বিঘাকালি কসিতে তুমি এক শুভঙ্কর বিশেষ। এই যে রামায়ণ, মহা