পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

,,。敦 線 baьt 1 জটাধারীর রোজনামচ, * ‘ ’ ની ૭૬૧ ভারত, গুরুদক্ষিণ, দাতাকৰ্ণ, শিব রামের যুদ্ধ পাঠে এত মুস্বর হয়েছ, এ কেবল জানবে এই বেতের ভয় এই বেতর গুণ ” বলিয়াই সম্মুখের পাটির উপর আবার দুই চারি বার সজোরে বেত্ৰাঘাত করিলেন ও কহিলেন “আমার নাশের কথা ভুল না।” দত্তজ মহাশয়ের কথা শুনিয়া কিঞ্চিৎকাল নিস্তন্ধে ভাবিলাম, যেরূপ জন্ম হইলেই মৃত্যু, শীল পড়িলেই জল, সেইরূপ পাঠশালায় প্রবেশ করিলেই বেতের পটপটী লাভ সুনিশ্চয়। দত্তজ মহাশয়ের দণ্ডবিধির অধীনে আসিয়া কোন ছাত্রই দণ্ড অতিক্রম করিতে পারে না, তথাপি কৃতজ্ঞতার বিষয় এই গঙ্গাধর অপরের মত দণ্ডনীয় হইতেন না, তাহার পক্ষে কিছু যেন ক্ষমা ছিল, সেই জন্য এই বক্তৃতার শেষ হওয়ায় আমি দত্তজ মহাশয়ের প্রতি একেবারে ভক্তিশূন্ত না হইয় তাহাকে এখনও স্মরণ করিয়া থাকি ও সময় পাইলে সাধ্যমত তাহার উপকার করিতে ব্ৰতী হইয়া থাকি । অহো ! গুরুভক্তি ! আমার চিন্তা শেষ না হইতেই সাহেবানী গোয়ালিনী কহিয়া উঠিল—“বেলা হল, আমার কথা শুনিবার কি আজ সরকার মহাশয়ের অবসর হবে ? আমি চলিলাম।” বলিয়া নিকটস্থিত দুগ্ধপাত্র উঠাইল । দত্তজ মহাশয় কহিলেন, শত কাজ পরে, তবু তোমার কার্যা প্রথমে—সাহেবানী চক্ষু ঘুরাইয়া কহিল “ছ" এত ভাব হে ! তবে কেন এতক্ষণ নিরর্থক বসে আছি ?” দত্তজ ! যা হবার হইয়া গিয়াছে, এখন কি হুকুম ? সাহেবানী দত্তজ্ঞার নিকটে আসিয়া বসিল ও নিম্নস্বরে কহিল “শুনেছেন সুন্দরীকে সাহেবের কাছে লয়ে গেছে । তাই এলাম একবার—খড়ি পাত, গুণে বল, সব ভাল হবে ত?” দত্তজ মহাশয় গণক । একটি “হনুমান চরিতের” পুথি দপ্তর হইতে বাহির করিলেন-পাঠশালায় সব নিস্তব্ধ । খড়ি বাহির করিলেন— ভূমে একটি অঙ্কপাত করিলেন ও কহিলেন “ফল হাতে আছে ?” সা। তা ভুলি নাই। গাট হইতে একটি হরিতকী বাহির করিল। লাউসেন কহিল, মুপারি নাই ? আরও ভাল। একটি স্বপারি সঙ্গে সঙ্গে স্থাপিত হষ্টল। পুস্তক হইতে একটি বচন ব্যাখ্যা করিলেন ও দত্তজ মহাশয়ের রসিকতার পরিচয় আরম্ভ হইল । “সুন্দরীর পিতার নাম কি ?” সাহেবানীর ত লজ্জা রাখিবার স্থানাভাব হইল। কহিল, “এত পরিচয় কেন ?" আবার চক্ষু খুরাইয়া কছিল, “বাপের সংবাদে ৰুাজ কি—সে আমার গর্ভজাত কন্যা কি না ?” দত্তজ কহিলেন “সেই প্রকারেরই গণনা করি, যদি ভুল হয় তো জবাবদিহি তোমার " -*.