পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీహిa खजधाश्रम [ ས་ཞུ་སྔ་rཝཱ་ཤ পার্থে লুক্ষ্মী, সরস্বতীর ন্যায় সজ্জিতকলেবর মারলগামিনীগণ গজাননের চণ্ডীর মন্দিরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। কোন কোন যুবতী কেশবন্ধন করিতে সময় পান নাই ; তাহাতে ক্ষতি নাই, স্বর্ণালঙ্কার ভূষিতা প্রচুর মুক্তকেশীর বেশ কিছু মন্দ নহে , প্রাতঃসলিল-স্নাত চাচর অলকাগুচ্ছগুলি প্রাতঃসমীরণে মস্তকপার্শ্বে তুলিতেছে, এক একটি যুবতী স্তম্ভপার্শ্বে ঠেস দিয়া গণ্ডদেশে হস্ত রাখিয়া, চিত্ৰপুত্তলিকার ন্যায় দেখিতেছেন, কি দেখিতেছেন ? একটা গৌরাঙ্গী এলোকেশী কিশোরী ব্রাহ্মণকনা নীলাম্বরী পরিধানে মন্দিরের সম্মুখে প্রাঙ্গণে বসিয়াছেন ও এক হস্তে শীলাতলে ভর দিয়া অন্ত হস্ত তুলিকাসহ ঢুক্ষরেখাতে আল্পনা আঁকিতেছেন । মধ্যদেশে একটি বড় শ্বেতপদ্ম, চারিপাশ্বে গোল করিয়া আবও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুষ্প বা কলিকা, পাতা, লতা ও আরও দূরে কয়েকটি খঞ্জহংসের আকার আঁকিলেন । কোন কামিনী কহিতেছেন, “এরূপ আমরা শিখিলাম না, * এর পবে কে আল্পনা দিবে ?” একটা দোজবরের সোহাগী সুন্দরী কহিতেছেন, “ছাই ও আবাব কি কাৰিকুরি যে শিখতে হবে।" তাহার নাক চোক নড়াতে অনেকে ক্ষান্ত হইলেন-- তাহাব প্রখরতায় কেহ বা ভীত হইলেন, কিন্তু বুনওলের উপর বাগা তেঁতুল আছে। বুড় সাহেবানী গোপিনী তাহার মুখে শ্বেত পাউডার ভস্ম প্রলেপ দেখিয়া কহিয়া উঠিল “সেকালে আমরা পিটালীর আলপনা দিতাম, এখন সুন্দৰীবা পিটালীর গুড় মুখে মেখে রং উজ্জল কবেন। এইত এলোকেশী দিদির রং, ইনি ত পাউডর মাখেন নাই, আলতা গুলে ঠোটে দেন নাই তবু কেন পদ্ম গোলাপ হেরে যায় ? যাকে ভগবান রঙ্গ দিয়াছেন, তাকে কি রং মাখাতে হয় ? এখন যুবতীর সাবান অাব পাউডর নিয়ে ব্যস্ত থাকবে না আলপন লিখতে শিখ বে? অনেকের মুচকি মুচকি হাসি দেখিলাম, পাগলিনীর মত সাহেবানী কটা কথা কহিয়াই পালাইল । এদিকে আলপনা লেখা সাঙ্গ হল, ঘটস্থাপনা হল, পূর্ণ ঘটে আম্রশাখা দেওয়া হল, তর্কালঙ্কার মহাশয় চসম নাকে, পুথি ক্রোড়ে করিয়া উপস্থিত, একটি থামের পার্শ্বে আসনে বসিলেন,সঙ্গে সঙ্গে এক ঝারি জল আসিল, নীলমণির গর্ভধারিণীর প্রতিরূপ গজাননের গৃহিণী সেই জলে তর্কালঙ্কার মহায়ের পদপ্রক্ষালন করিয়া কেশদলে ঐীচরণ মুছিয়া লইলেন । তর্কালঙ্কার পাঠক হইলেন, পুথি খুলিলেন, পুথিটা গৈরিক রঙ্গের বস্ত্রের উপর লেওয়ার বদ্ধ, তাহার উপর আবার প্রচুর চন্দন ছিটা বিকীর্ণ, সম্মান পুরঃসর তাহা সম্মুখে রাখিয়া প্ৰণাম করিলেন, আবার উঠাইয়া লেওয়ার ও বস্ত্র খুলিলেন, পত্র মধ্য দিয়া একটা ছিদ্র পারাপার হইয়াছে, তন্মধ্য দিয়া একটা সূত্র চলিয়া গিয়াছে ; পুস্তকটা বিস্তার করিয়া রাখিলেন, চসমাটি আবার নাসিকাগ্রে স্থাপিত হুইল । যেরূপ মৌলবি সাহেবের চসম স্বর্ণ পাশে আবৃত ইহা সেরূপ নহে, কেবল