পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

دان:জটাধারীর রোজনামচা e [: هد আঁখিন্বয়ের র্কাচ দুখানি বিশেষ বড় পিতলের পরিধিবেষ্টিত, একটি ধনুকাৰমর তারে” নাকের উপরিস্থিত, সেই তার হইতে একটি সূত্র ক্রযুগলের কপালের শিরোদেশের মধ্যদেশ হইয়া ব্রহ্মরন্ধের শিক্কাতে আবদ্ধ । আচমন করিয়াই ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় উচ্চৈঃস্বরে পাঠ করিতে লাগিলেন । বুঝিবার চেষ্টা করিলাম কিন্তু সকলই সাধ্যাতীত । বোধ হইল। একে সংস্কৃত তাহাতে দন্তহীন স্বরে বৃদ্ধ কণ্ঠের উচ্চারিত। এদিকে তর্কালঙ্কার মহাশয়ের সম্মুখে কিঞ্চিৎ দূরে ললাটাংশ মুন্দর সিন্দুর বিন্দু শোভাময় শুভ চণ্ডীর এয়োতী সুন্দরীশ্রেণী দণ্ডায়মান। প্রদীপ জ্বলিতেছে, ধূপ ধূনার গন্ধে প্রাঙ্গণ আমোদিত, চন্দনফুলে পুষ্পপাত্র পরিপূরিত। অবশেষে দেবীর আসনের চতুষ্পার্শ্বে শুভ্র রাশি রাশি আতপ তণ্ডুল চূড় স্বগোল সন্দেশ মুণ্ডিতে শোভিত, উপকরণ ফলের ছটাও মুরম্য। আজন্মকৃপণ গজাননের গৃহে অদ্য প্রচুর সামগ্ৰী সংগৃহীত হইয়াছে ; নীলমণি র্তাহার একান্ত মেহের পদার্থ, তাহার শুভ . সাধনের জন্য কৃপণ হইলে নিজেরই অশুভ হইবার সম্ভাবনা । এই সুদৃশ্বাস্থানে তর্কালঙ্কার মহাশয় পুস্তক পাঠসময়ে মনে করিতেছেন যে এ মিষ্টান্ন সকল আমারই, নিৰ্ব্বিরোধের ধন। সকলে স্থিবভাবে দণ্ডায়মান, অল্পসময়মধ্যে উপক্রমণিকা পরিচ্ছেদ অনর্গল পাঠে সমাপ্ত হইল। ভৈরব ভূত্য কহিয়া উঠিল “হা, যাব বিয়ে তাব মনে নাই, নীলমণি বাবু কই ?” “এই ডে ডাটি” বলিয়া মণি স্বয়ং গজানন চৌধুরীমহাশয়ের সমভিব্যাহারে আসিলেন । নীলমণি হরিদ্রারঙ্গের চেলির কাপড় পরিয়া উপস্থিত, দেখিতে অতি গৌরবর্ণ কিন্তু চুলগুলি কুচির স্যায় একটি পৃথক দাড়াইয়া রহিয়াছে, কপালটি প্রায় তিন আঙ্গুল প্রশস্ত, নাকটি আর একটু খান্দ হইলেই পাচ অঙ্কের রেখার স্যায় মুখভঙ্গি প্রকাশ পাইত, শ্বেত চন্দন ফোটাতে প্রায় ক্ষুদ্র কপাল পরিপুরিত । শুভচণ্ডীর নাম শুনিয়া সত্বর দণ্ডবৎ হইলেন। অমনি সঙ্গে সঙ্গে দাড়াইয়া কহিলেন, “ঐ নৈবিড ডের সন্দেশটা খাব ?” গজানন কহিলেন ক্ষেপ। ছেলে, আবার প্রণাম কর । নীলমণি আবার প্রণাম করিলেন । জটাধারী যাইয়া কাণে কাণে কহিলেন “স্থির হও পূজা শেষ হউক ” নীলমণি নিবারণস্রোতে বদ্ধ হইলেন। এখন তর্কালঙ্কার পৃথগাসনে ঘটপার্শ্বে আসিয়া বসিলেন, পূজা একদণ্ডে সমাপ্ত হইল। এলোকেশী দিদি চণ্ডীর কথা কহিবে, তাহার সঙ্গে বরণ ডালা হস্তে এয়োতিগণ চলিল। . প্রাঙ্গণপার্শ্বে বাদ্য বাজিয়া উঠিল। শীতু ক্ষেপ নীলমণির নামসম্বলিত একটি আশীৰ্ব্বাদসূচক গীত গাইতে গাইতে নাচিতে লাগিল। তর্কালঙ্কার মহাশয় চণ্ডী পুস্তকের পরিশিষ্ট মাঠে আবার উপবিষ্ট। পৃথক প্রাঙ্গণে বাজনা বাজিতেছে, চারিদিকে গোলযোগ বৃদ্ধি হইতেছে, তর্কালঙ্কার মহাশয় অনন্তমনে চণ্ডী পাঠ করিতেছেন, নৈবেম্ভ पूज्ज হইতে মণ্ডাগুলি ক্রমে ক্রমে বেমালুম অন্তৰ্হিত হইতেছে, বালক বৃদ্ধের ঘন