পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

র তুলনায় সমালোচনা বড় ভালবাসেন । সেইজন্য অদ্য আমরা 기 লিদাস ও শিক্ষপীয়র এই দুইজন বড় বড় কবিকে তুলনায় সমালোচনা করিব স্থির কবিয়াছি । ছোট খাট বটতলার ও গ্রবন্ত্রীটের বহুসংখ্যক কবি থাকিতে এত বড় দুইজন কবিব উপর হস্তক্ষেপ করা কেন ? একথা যদি কেহ জিজ্ঞাসা করেন তাহা হইলে বলিব “মাবি ত হাতি লুটি ত ভাণ্ডার", এদের দুজনের একজনেব ও ভাল কবিয়া শ্রাদ্ধ কবিতে পাবিলে সেই সঙ্গে আমার ও কিছু হটতে পারে এই এক ভবসা । আমরা কালিদাস ও শিক্ষপীয়ব মধ্যে কে কেমন লিখিয়াছেন দেখাইতে চেষ্টা করিব । কোন একটা বিষয লইয়া দেখিব কে জিতিয়াছেন কে হাবিযাছেন ; কিন্তু ইহাদের দুজনের মধ্যে কে বড় কে ছোট, কাহাব কবিত্বশক্তি অধিক, কাহাব অল্প, তাতা নির্ণয় করা বড় শক্ত ; বিশেষত: আমার মত ক্ষুদ্রঞ্জাবা লোকের পক্ষে । সাহাদেব বিদ্যাবুদ্ধির পার নাই ঠাতারাই হঠাৎ বলিতে পারেন শেক্ষপীয়র—ছা— কালিদাসের ছাইচ পৰ্য্যন্ত মাড়াইতে পারে না । to কালিদাস একজন সুনিপুণ চিত্রকর । রঙ ফলাইতে অদ্বিতীয় । সেড দিবার ক্ষমতাও খুব আছে। সকলের অপেক্ষ তাহার বাঙ্গাতুরী সাজানতে আর বাছিয়া লওয়াতে । কোন কোন জিনিস বাছিয়া লইতে হইবে আর কেমন করিয়া বসাইলে সে সব গুলি ভাল করিয়া খুলিবে এই ছুটী বুঝিতে উক্তিার মত ওস্তাদ মিলিয়া উঠা ভাব । তিনি চিত্রকরের চক্ষে জগৎ দেখিতেন ও কবির কলমে লিখিতেন। প্রকৃতিতে যা কিছু আছে সবই সুন্দর অথবা লিপিচাতুৰ্য্যে সব সুন্দর করিয়া তুলিব এ ভাব তাতার মনে কখন উদয় হয় নাই । তিনি স্বভাবশোভা কাহাকে বলে জানিতেন, চিনিতেন, এবং সেগুলি বাছিয়া লইতে ও সাঙ্গাইতে খুব মজবুদ ছিলেন । 象 * শেক্ষপীয়রের পক্ষে বাছিয়া লইবার কিছু দরকার ছিল না। তাহার দুই চক্ষে যাহাই পড়িত, তাহাই লইতেন, কিন্তু কাজের সময় সে গুলিকে ছাটিয়া