*२vá ] কালিদাস ও শেক্ষণীয়র לשא পরিষ্কার করিয়া নিজব্যবহারের উপযোগী করিয়া তুলিতেন । সৌন্দৰ্য্য বাছিয়া লইবার তাহার দরকার ছিল না, যেহেতু অসুন্দরকে সুন্দর করিবার ক্ষমতা তাহার যথেষ্ট ছিল । পরের লেখা ছাই ভস্ম পরিষ্কার করিয়া তিনি শিক্ষানবিসি সাঙ্গ করেন সুতরাং পরের জিনিস কিরূপে আপন করিতে হয় সেটুকু তাহার খুব অভ্যস্ত ছিল । অসুন্দর বস্তুর উপর কালিদাসের এমনি বিতৃষ্ণা যে র্তাহার সমস্ত গ্রন্থমধ্যে কোথাও পাপের বর্ণনা বা কোন বীভৎস রসের বর্ণনা নাই। কিন্তু শেক্ষণীয়রের পাপের ছবিই সৰ্ব্বাপেক্ষা সমধিক উজ্জল বর্ণে বঞ্ছিত । আমবা কালিদাসে শ্মশান বর্ণনা পাই না, নরক বর্ণনা পাই না, ম্যাকবেথ পাই না, ইয়াগোও পাই না । কিন্তু শেক্ষপীয়রে অদ্ভূত পাপ সৃষ্টি কালিবানকে প্রশংসা না করিয়া আমরা থাকিতে পারি না । কালিদাস হিমালয় বর্ণনা করিতে গিয়া কোথায় হিমালয়েব প্রকাণ্ডত দেখাইবেন, প্রকাণ্ড বস্তুর বর্ণনে পাঠকের শরীর কণ্টকিত কবিবেন তাহা না করিয়া হিমালয়ে অন্সবাগণেব মতিভ্ৰম দেখাইতে বসিলেন ; স্থৰ্য্যকিরণ বক্র করিয়া পুষ্করিণীব পদ্ম ফুটাইতে বসিলেন ; আরো কত সুন্দর বস্তু দেখাইয়া হিমালয়কে বিলাসকাননবৎ করিয়া তুলিলেন । কালিদাসেব এইরূপ উৎকট সৌন্দৰ্য্যপ্রিয়তা হেতুই তাহাব পুস্তকাবলীতে এত বমণীয বর্ণনা দৃষ্ট হয়, এই জন্যই তিনি কটমট ছন্দ সূত্র লিখিতে গিয়াও সেগুলিকে প্রিয়া বিশেষণ পদ প্রয়োগে ললিত করিয়া তুলিয়াছেন । পৃথিবীতে বর্ণনীয় জিনিস দুই—অন্তর্জগৎ—মমুন্যের মন ; আব বাহাজগৎ । নিৰ্ম্মল আকাশ, সুদৃববিস্তৃত অবণশ্রেণী, মেঘমালাবৎ প্রতীয়মান পৰ্ব্বতশ্রেণী ইত্যাদি । কালিদাসের বই পড়িলে বোধ হয় এই দুইএর মধ্যে যাহা কিছু সুন্দর সবই তাহার একচেটে । মনুষ্যঞ্জাতির মধ্যে সুন্দর রমণীগণ ; রমণীহৃদয়ে পবিত্র প্রণয়, পরম সুন্দর। কালিদাস সেই প্রণয়ই নানাপ্রকারে দেখাইতে প্রয়াস পাইয়াছেন । হৃদয়ের অন্যান্য প্রবৃত্তিব মধ্যে যেগুলিতে লোকের মন আকর্ষণ করে সেগুলি সব তাহার পুস্তকে আছে। বাপ ছেলেকে কোলে লইয়া চুম্বন করিতেছে, বাপ বনে যাবেন শুনিয়া ছেলে কাদিয়া আকুল হইতেছে, মেয়ে শ্বশুর বাড়ী যাইবে বুড বাপ কঁদিতেছে, প্রিয়তমার অকালমৃত্যুতে পতি শোকে অভিভূত হইয়াছে, স্বামীর অকালমৃত্যুতে নববিধবা মোহপরায়ণ হইয়া পড়িয়া আছে, সিয়ার হঠাৎ বিরহে প্রিয় উন্মত্ত হইয়া ভ্রমণ করিতেছে আর যাহাকে পাইতেছে প্রিয়ার সংবাদ জিজ্ঞাস করিতেছে ; কোথাও লতা কোথাও ময়ূরকে প্রিয়া বোধে আলিঙ্গন করিতেছে—এ সব মনুষ্যহৃদয়েব মোহিনীময় ভাব । এ ভাবের প্রকৃত ওস্তাদ কালিদাস। কিন্তু যেখানে দশ, পনরট পরস্পর বিরোধী ভাব যুগপৎ উদয় হইয়া অন্তরাকাশকে অন্ধকার করে, যেখানে হৃদয়-ক্ষেত্রে যুদ্ধ
