পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૩૨/s J श्रांथर्दौलङ - 8°5 . কিন্তু জ্ঞানের সামঞ্জস্য অতি অল্প লেকের মধ্যে আছে। পূৰ্ব্বে কখন তাহা । ছিল কি না সন্দেহ ; এখনও বড় নাই। প্রথম অবস্থায় হয় ত অসম্ভব ছিল । এখন, কতক সম্ভব হইয়াছে। এই সামগুস্তের এক নাম উন্নতি । দশ সহস্ৰ বৎসর পূর্বে একেবারে জ্ঞানের সামঞ্জস্য ছিল না। কাজেই তাৎকালিক সেই অসামঞ্জস্য কেহ আপনাদের মধ্যে জানিতে পারিত না । কেহ কাহাকেও পাগল বলিত না। “পাগল" নূতন গালি। সামঞ্জস্তের পরে আরম্ভ হইয়াছে । সেই আদিমকালে এতই গুরুতর অসামঞ্জস্য ছিল যে এক্ষণে আমরা সেই সময়ের লোক দেখিলে তাহাকে পাগল ভাবিবার সম্ভাবনা । অন্ততঃ আশ্চৰ্য্য হইবার সম্ভাবনা । এই বৰ্ত্তমান সময়ে আমাদের মধ্যে জ্ঞানের যেরূপ অসামঞ্জস্য দেখিতে পাওয়া যায়, তাহা নিতান্ত সামান্ত নহে । যে ব্যক্তিরা বাষ্পীয়যন্ত্র গঠন করিতেছে, চন্দ্র সূর্য্যের গতি গণনা করিতেছে, বাষ্প হইতে জলের সৃষ্টি করিতেছে, তাহারাই হয় ত বৃষ্টির নিমিত্ত দৈবচেষ্টা করিতেছে । মড়ক নিবারণ করিতে হইবে, তাহারাই হয় ত+ বলিবে “চল, ধৰ্ম্মমন্দিরে চল, বা অন্ত আড ডায় চল, প্রার্থনা গাই গিয়া, মড়ক অবশ্য নিবাবণ হইবে।” বুদ্ধির এইরূপ বৈষম্য দেখিলে কেহ এক্ষণে অসঙ্গত বিবেচনা করে না, কিন্তু পবে করিবে, হয় ত তখন এরূপ বুদ্ধিমানকে লোকে পাগল বলিবে । এরূপ অর্থে, পাগল এক্ষণে আমরা সকলেই। বুদ্ধির বৈষম্য বা জ্ঞানের অসামঞ্জস্য সকলেরই আছে। কিন্তু কেহ কাহাকে পাগল বলি না। পাগল রূঢ় কথা। তবে নিৰ্ব্বোধ বলি, স্বার্থপুর বলি, দাম্ভিক বলি, কৃপণ বলি, নিষ্ঠুর বলি, হিংস্র বলি । একই কথা । সকল গুলিই বুদ্ধির বিকৃতিবাচক, পাগলের পরিচায়ক। পাগলের সম্পূর্ণ নামকরণ অদ্যাপি বাকি আছে। পিতম—পাগল, কিন্তু নিজে তাহ জানে না । বুদ্ধিতে অন্ত লোক যে প্রকার, আপনিও সেই প্রকার এই পিতমের বিশ্বাস ; কোন অংশে যে ব্যতিক্রম আছে, তাহ পিতম বুঝিতে পারে না । কিন্তু পিতমের বোধ আছে যে পাগল শব্দ তাহার নামের অংশ, এই জন্ত লোকে তাহাকে পাগলা বলিয়া ডাকে । পশুশালায় লৌহপিঙ্গরে স্থান পাইয়া পিতম শয়ন করিল, শয়ন অনেক সময় তৃপ্তিবাচক । ইন্দ্রভূপ দেখিলেন যে, পিতম আর র্তাহার প্রতি লক্ষ্য করিল না। রাজা হাসিলেন, পিতমও হাসিল। রাজা জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমাদিগকে আর তোমার মনে থাকিবে ?" واسسسه ج 6