sss बर्थिञि ं. [ चऽहांइ१ ছেড়া তুলট, না দেখিবার মানসে সম্মুখে পাতিয়, সুগন্ধি মল্লিকা মালা শিরোপরে বেষ্টিত করিয়া, নাহ্লস্ মুছস্ কালো কথক সীতার সতীত্ব, অৰ্জ্জুনের বীরধৰ্ম্ম, লক্ষ্মণের সত্যব্রত, ভীষ্মের ইন্দ্রিয় জয়, রাক্ষসীর প্রেমপ্রবাহ, দধিচীর আত্মসমর্পণ বিষয়ক মুসংস্কৃতের সদ্ব্যাখ্যা মুকণ্ঠে সদলঙ্কার সংযুক্ত করিয়া আপামর সাধারণ সমক্ষে বিবৃত করিতেন। যে লাঙ্গল চষে, যে তুলা পেজে, যে কাটন কাটে, যে ভাত পায় না পায়, সেও শিখিত—শিখিত যে ধৰ্ম্ম নিতা, যে ধৰ্ম্ম দৈব, যে আত্মান্বেষণ অশ্রদ্ধেয়, যে পরের জন্য জীবন, যে ঈশ্বর আছেন, বিশ্বস্বজন করিতেছেন,বিশ্বপালন করিতেছেন, বিশ্বধ্বংস করিতেছেন, যে পাপ পুণ্য আছে, যে পাপের দণ্ড পুণ্যের পুরস্কাব আছে, যে জন্ম আপনার জন্য নহে পরের জন্ত, যে অহিংসা পরম ধৰ্ম্ম, যে লোকহিত পরম কার্য্য—সে শিক্ষা কোথায় ? সে কথক কোথায় ? কেন গেল ? বঙ্গীয় নব্য যুবকের কুরুচির দোষে। গুলকি কাওরাণী শূয়ার চরাইতে অপারগ হইয়া কুপথ অবলম্বন করিয়াছে। তাহার গান বড় মিষ্ট লাগে, কথকের কথা শুনিয়া কি হবে ? দক্ষযজ্ঞে, বিশ্বযজ্ঞে ঈশ্বরের জন্য ঈশ্বরীর আত্মসমপণ শুনিয়া কি হইবে ? চল ভাই, ব্রাণ্ডি টানিয়া থিয়েটারে গিয়া কাওরাণীর টপ্পা শুনিয়া আসি । এই অল্প ইংরেজিতে শিক্ষিত, স্বধৰ্ম্মভ্রষ্ট, কদাচার, দুবাশয়, আসার, অনালাপ্য, বঙ্গীয় যুবকের দোষে লোক শিক্ষার পরম আকর কথকতা লোপ পাইল । ইংরেজী শিক্ষার গুণে লোকশিক্ষার উপায় ক্রমে লুপ্ত ব্যতীত বদ্ধিত হইতেছে না । কিন্তু আসল কথা বলি । কেন যে এ ইংরেজী শিক্ষা সত্ত্বেও বাঙ্গালা দেশে লোকশিক্ষার উপায় হ্রাস ব্যতীত বৃদ্ধি পাইতেছে না, তাহার স্থূল কারণ বলি—শিক্ষিতে অশিক্ষিতে সমবেদনা নাই । শিক্ষিত অশিক্ষিতের হৃদয় বুঝে না। শিক্ষিত অশিক্ষিতের প্রতি দৃষ্টিপাত করে না। মরুক রামা লাঙ্গল চযে, সুমার ফাউলকারি স্বসিদ্ধ হইলেই হইল। রাম কিসে দিন যাপন করে, কি ভাবে, তার কি অসুখ, তার কি মুখ তাহা নদের ফটিকচাদ তিলাৰ্ধ মনে স্থান দেন না । বিলাতে কাণ ফসেট সাহেব এ দেশে সার অ্যাসলি ইডেন ইহারা তাহার বক্তৃতা পড়িয়া কি বলবেন, নদের ফটিকচাদের সেই ভাবনা। রাম চুলোয় যাক, তাতে কিছু আসিয়া যায় না। তাহার মনের ভিতর যাহা আছে, রাম এবং রামার গোষ্ঠী—সেই গোষ্ঠী ছয়কোটি যাটি লক্ষের মধ্যে ছয় কোটি উনষাটি লক্ষ নব্বই হাজার নয়শ–তাহারা তাহার মনের কথা বুৰিল না। যশ লইয়া কি হইবে ? ইংরেজে ভাল বলিলে কি হইবে ? হয়কটি বাটলক্ষের ক্ৰানধ্বনিতে আকাশ যে ফাটিয়া যাইতেছে—বালার
