পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৪৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

য়ক মাস গত হইল, বঙ্গদর্শনে “বঙ্গের উন্নতি” নামক প্রবন্ধে মন্দরপর্বতের নিকট প্রথমে আর্য্যেরা বাস করিয়াছিলেন, উল্লেখ করা হইয়াছিল। কাম্বে উপসাগবের উপকূলে নৰ্ম্মদা নদীর সঙ্গম হইতে, বাঙ্গালার পশ্চিমোত্তর ভাগীরথীব মোহনা পর্য্যস্ত বিন্ধ্যাচল ব্যাপ্ত আছে । এই অচল রাজমহলের নিকট হইতে বক্রগতিতে ক্রমে দক্ষিণাভিমুখে বাৰভূম, বাকুড়া ও মেদিনীপুরের পশ্চিম দিয়া উড়িষ্যাপ্রদেশে নীলাচল নামে খ্যাত হইয়া, পরে মহেন্দ্র অর্থাৎ পূর্বঘাট পৰ্ব্বতের সহিত মিলিয়াছে। সুতরাং ভারতবর্ষকে বিন্ধ্যাচল উত্তর দক্ষিণে দ্বিধাকৃত করিয়াছে। মন্দরভূধর • এই বিন্ধ্যগিরির অন্যতর শিখর। রাও ফোর্ড প্রভৃতি ভূতত্ত্ববিদেরা বিন্ধগিরিকে হিমাচল অপেক্ষা প্রাচীন অনুভব করিয়াছেন । যখন বিন্ধ্যগিরি উন্নতমস্তকে যেন দিবাকরের গতিরোধের উদ্যোগে ছিলেন, তখন নগাধিরাজ হিমবানের এক্ষণকার ন্যায় আধিপত্য হয় নাই। বিন্ধ্যাচলের গঠনে যে প্রস্তরসমূহ দেখা যায়, তাহ ভূগর্ভে অতিশয নিম্নস্তরে লক্ষিত হয়, কিন্তু হিমালয় তদপেক্ষা উচ্চস্তরের প্রস্তর-গঠিত এবং তাহা অপেক্ষাকৃত ভঙ্গুর। অতএব হিমাচলের সৃষ্টির পূৰ্ব্বে বিন্ধ্যের উদ্ভব বোধ হয় । কিন্তু উন্নতি বা অবনতি কাহারও চিরদিন থাকে না । কখন সামান্য পশু-পদ-দলিত সমতলক্ষেত্র ক্রমশ: উচ্চ পৰ্ব্বতমালায় পরিণত হইয়া অভ্ৰভেদ করিতেছে, কখন বা চন্দ্রস্তুর্যের গতিরোধকারী অচলরাজ ও ক্রমে নতশির হইয়া অবশেষে প্রাস্তরের আকার ধারণ করিতেছে । ফলতঃ রাসায়নিক প্রক্রিয়া দ্বারা উপযুপিরি জলবাযুর ঘাত প্রত্যভিঘাতে পৰ্ব্বতস্থ প্রস্তরখণ্ডসমূহ শিথিল হইয়া থাকে। পরে বেগবতী স্রোতস্বর্তী শিলাখণ্ড সকলকে চূর্ণীকৃত করিয়া সাগরাভিমুখে লইয়া ফেলে। এইরূপে কোথাও বা অৰিত্যক নিম্ন হইতেছে, কোথাও জলধি-ক্রোড়স্থ নদীমাতৃক প্রদেশ উত্তরোত্তর বর্ধিত হইয়া বিস্তৃত

  • Asiatic Society's Journal vol. xx. 毒。