পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৪৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૩૨ના ] * बऔब्र बूवक ७ डिम कवि 88> রাজ্যকালীন ইংরেজিরূপে শিক্ষিত। একজন সমাজ ভাঙ্গিতে সমাজের অত্যাচারী নিয়মাবলী পরিবর্তন করিতে শিক্ষা দেন, সমাজ ছাড়িয়া গেলে কিরূপ সুখ হয় তাহাই দেখান। একজন সমাজে থাকিয় কতদূর মুখ ভোগ করা যাইতে পারে তাহাই দেখান আর একজন সমাজের সহায়তা ও উহার বিরোধে কিরূপ আনন্দ অনুভব করা যায় দেখাইয়া শেষ করেন । তিনজনই প্রণয়ের কবি, প্রণয়গত অবশু তারতম্য আছে তাহা আমাদের এখানে বলার প্রয়োজন নাই। তিনজনই স্বভাবের সৌন্দৰ্য্য অনুভব করিতে শিক্ষা দেন। তিনজনই নিজে স্বভাবের সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ এবং তিনজনেই লোককে আপন আপন মুগ্ধতায় অংশী করিতে পারেন। বাঙ্গালায় পৰ্ব্বত নাই, পাহাড় নাই, কেবল এক হরিদ্বর্ণ শস্যপূর্ণ ক্ষেত্র আর মাঝে মাঝে বিশালনিতম্ব স্রোতস্বিনী আর নিৰ্ম্মেঘ ও সমেঘ আকাশ। হঠাৎ মনে হইতে পারে বাঙ্গালায় স্বভাব সৌন্দর্য্য নাই, কিন্তু বঙ্কিম বাবুর প্রতিছত্রে বাঙ্গালার সেই সৌন্দৰ্য্য প্রকটত। বাঙ্গালার সৌন্দৰ্য তিনিই সৰ্ব্বপ্রথম কবির চক্ষে দেখিয়াছেন ও আমাদের সৌভাগ্য ছিল বলিয়া আমরাও র্তাহার হৃদয়-দর্পণে প্রতিফলিত সেই অপূৰ্ব্ব সৌন্দৰ্য্য আবও সুন্দর বলিয়া দেখিতে পাইয়াছি। সেকালে স্বভাবের শোভানুভবের নাম দেবতার আরাধনা ছিল। প্রসন্ন পুণ্য-সলিলা গঙ্গা দেবতা, আকাশ ঋষি পূর্ণ, চন্দ্র দেবতা, সূৰ্য্য দেবতা ; বঙ্কিম বাবু দেবতাদিগকে অন্তরিত করিয়া শুদ্ধ সৌন্দর্য্য মাত্র দেখাইয়াছেন ও দেখিতে বলিয়াছেন । বাঙ্গালার যে কিছু সৌন্দর্ঘ্য তাঙ্গর প্রায় কিছুই বঙ্কিমবাবু দেখাইতে ছাড়েন নাই। হীরার বাড়া, দেয়ালে পাখী আঁকা হইতে সূৰ্য্যমুখীর বিচিত্র চিত্রবদ্ধিত গৃহ পৰ্য্যন্ত সবই দেখাইয়াছেন। র্তাহার চিত্রে অপরিস্কার কিছুই নাই। সব পরিষ্কার ঝরঝরে । কালিদাসের বর্ণনা ভারতময় । সিংহলদ্বীপ হইতে আরম্ভ করিয়া কৈলাস পৰ্ব্বত পর্য্যস্ত সব কালিদাস বর্ণনা করিয়াছেন । র্তাহার বর্ণনা শুদ্ধ পরিষ্কার নয় বড় উজ্জল ও চাকচিক্যময়, যেন ইলেকটিক আলোকে electric light প্রতিফলিত। স্বাভাবিক সৌন্দর্য্যে ভারতবর্ষ জগতের অনুকৃতি, আর কালিদাস এই সমস্ত ঘুটিয়া ফেলিয়াছেন। তন্ন তন্ন করিয়া দেখান উাহার কৰ্ম্ম নয় সেজন্ত ওয়ার্ডসওয়ার্থ চাই। র্তাহার দেখান বাছিয়া বাছিয়া, ভাল ভাল বস্তুগুলি । র্তাহার বর্ণনায় শুদ্ধ সৌন্দর্য্যে নয় কিছু না কিছু অলৌকিক উহার সঙ্গে মিশ্রিত আছে। যথা রামের পুষ্পক রথ, মেঘের দৌত্য। তাহার ঋতুসংহারে স্বভাবের বিশুদ্ধ সৌন্দৰ্য্য অতি উজ্জল বর্ণে চিত্রিত আছে। এখানকার বর্ণনায় অলৌকিকতা নাই এবং পরিষ্কার অপরিষ্কার জ্ঞানও বড় বেশী নাই। কিন্তু