88% दछल्लीम t ८नोश উদ্ধারের জন্য অস্ত্র ধারণ করিতে শিখাইয়াছেন । যাহার ক্ষমতা বলে অত্যাচারের হস্ত হইতে মুক্তি পায় তাহাদিগকে বাহবা দিতে শিখাইয়াছেন। কালিদাসের সমাজ ঠিক মনু হইতে এক আকারে চলিয়া আসিতেছে। তাহার যাহা কিছু আছে সকলই শাস্ত্রসঙ্গত যুক্তিসঙ্গত অনুমাত্র তফাৎ নাই। সুতরাং তাহার গ্রন্থে প্রলোভন নাই। পাপ পুণ্যের মধ্যে পাপ বড় কম সবই পুণ্য। ইচ্ছার স্বাধীনতা নাই। সুতরাং তাহার গ্রন্থ কেবল মুখের ছবি, নিরবচ্ছিন্ন বিশুদ্ধ আধ্যাতিক আমোদের ছবি । রায়রণ পাপ পুণ্য বলিয়া দুইটি পদার্থ স্বীকার করিতে চান না। সুতরাং লোকে যাহাকে প্রলোভন বলে সে বস্তু তিনি স্বীকার করেন না। র্তাহার মতে মনুষ্য আপন ইচ্ছায় যাহা করে তাহাই ঠিক, আপন ইচ্ছায় যাহাকে ভালবাসে সেই প্রণয়ের পাত্র। সুতরাং মনুষ্য আপনার সুখেব জন্ত আত্মইচ্ছার উপর নির্ভর করে ; কখন কৃতকাৰ্য্য হয় কখন অকৃতকাৰ্য্য হয়, পরের কথায় কিছুই করিতে চাহে না সমাজের যে সকল নিয়ম আছে মানিতে চাহে না । বৰ্ত্তমান সমাজের যেরূপ গঠন তাহাতে সমাজ এরূপ স্বেচ্ছাচারীদিগকে দমন করিতে চায় সুতরাং উহার সমাজের শত্রু হইয়া দাড়ায় । যে সমাজে ইচ্ছার প্রতিরোধ না থাকে তাহারা সেইরূপ নূতন সমাজ চাহে, তাহ পায় না বলিয়া ঘোরতর সমাজদ্বেষী হইয়া পড়ে । বঙ্কিমবাবুর এক হাতে কালিদাস আর এক হাতে রায়রণ কিন্তু কালিদাসের আধিপত্য র্তাহার উপর অধিক । তিনি সমাজ সেই প্রাচীন রীতিতে চালাইতে -ৰান। সেই জিতেশ্রিয়ভাব সেই মুখ সেই শান্তি কিন্তু ইচ্ছাশক্তি এক এক সময়ে দুৰ্দ্দম হইয়া উঠে । এইটি বায়রণের । তিনি লাগাম ছাড়িয়া দিয়া দেখান যে ইন্দ্রিয় বশ করিতে না পারিলে লোকের পদে পদে বিপদ ঘটে । তিনি একবার প্রলোভন লোকের সম্মুখে উপস্থিত করিয়া দেন ; দেখান সকলেই প্রলোভনে ভুলে কিন্তু কেহ অস্তরের ভাব অন্তরেই রাখে, দমন করে । ইহারাই জিতেন্দ্রিয় যথা প্রতাপ । কেহ বা রাখিতে পারে না দমন করিতে পারে না যথা শৈবলিনা ও নগেন্দ্রনাথ । যেই জিতেন্দ্রিয় সেই মুখী সাহসী সৰ্ব্বত্র প্ৰসাপাত্র। যে অজিতেন্দ্রিয় সেই দুঃখ সাতসশস্ত এবং আস্বয়ানি পূর্ণ। কালিদাসের প্রলোভন নাই। বায়রণের সবই প্রলোভন কিন্তু তাহা হইতে উঠিবার ইচ্ছা নাই। বঙ্কিমবাবুর প্রলোভন আছে ; তাহার হুঃখ আছে ও তাহা হইতে উদ্ধার হইলে মুখও আছে। স্বতরাং আধুনিক সমাজে আমরা ৰৰিম বাবুর গ্রন্থ হইতে উচ্চতর নীতিশিক্ষা প্রাপ্ত হুইয়া থাকি ।
