পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৪৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\રના ] बबीब्र भूतक ७ डिम कवि 88% বায়রণ হইতে আমরা মানবজাতির প্রতি অনুরাগ করিতে শিখি বটে । কিন্তু তিনি স্পষ্ট শিক্ষা কোথাও দেন নাই । তিনি বৰ্ত্তমান সমাজের অনেক নিন্দা করিয়াছেন। অত্যাচারপীড়িতদিগের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করিয়াছেন। তাহাতেই তাহার মতলব টের পাওয়া যায়। কিন্তু বঙ্কিমবাবুর গ্রন্থ হইতে আমরা যে স্বদেশানুরাগের উপদেশ পাই সে আর একরূপ । তাহার গ্রন্থাবলীর মধ্যে কতকগুলি মূৰ্ত্তিমান স্বদেশানুরাগ আছে। যথা রমানন্দ স্বামীর । এই সকল লোকের কি আশ্চৰ্য্য গঠন । র্তাহারা যে ত্ৰতে জীবন উৎসর্গ কবিয়াছেন তাহার মাম পরহিত ব্ৰত। পীড়িত যে ধৰ্ম্মাবলম্বী হউক না কেন, মুসলমান হউক, হিন্দু হউক, খ্ৰীষ্টিয়ান হউক, তাহার উপকারের জন্য সৰ্ব্বদাই উদ্ভূক্ত । ইহারা নিজ জীবন পরের উপকারের জন্য তৃণবৎ ত্যাগ করিতে কাতর হন না। নৈতিক উন্নতির বোধ হয় রমানন্দ স্বামীই পরাকাষ্ঠী, কালিদাস হইতে আমরা আর একপ্রকার অনুরাগের উপদেশ পাই । তাহার নাম সৰ্ব্বভূতানুরাগ। এ অম্বুবাগ বুদ্ধধৰ্ম্মের ফল। কালিদাসের সময়ে যদিও উক্ত ধৰ্ম্মের লোপাপত্তি হইয়াছিল তথাপি উহা অনেক অংশে হিন্দুদিগের মনে দৃঢ়বদ্ধ হইয়াছিল। কিন্তু অম্মদেশীয় মাংসাশী যুবকবৃন্দ সৰ্ব্বভূতে দয়ার বড় একটা সম্পর্ক রাখেন না। তাহাদের মতে মানবজাতির প্রতি অনুরাগই মুখ্য ধৰ্ম্ম । 環 কালিদাসেব শকুন্তলার লতা পাতা হরিণ মুগ প্রভৃতি সোদরস্নেহ । আমরাও ফুলগাছ পুতি গোরু বাছুর পুষি কিন্তু তাহাদের উপর আমাদের সোদরস্নেহ হয় না। কিন্তু কালিদাসের হৃদয় পশুদিগের জন্যও কাদিত, আমাদের কাদে না । বঙ্কিমবাবুর নগেন্দ্রনাথ প্রজাদিগকে সস্তানের স্বাক্টস্নেহ করেন। আমাদের স্নেহ বড় ঐ পর্য্যস্তই নামে । বায়রণ সকল মানুষেরই প্রতি স্নেহ করেন। তাহার সাক্ষী তাহার গ্রন্থে দুৰ্দ্দশাপন্ন গ্ৰীকৃদিগের জন্য গভীর রোদন ও তাহাদের তুর্গতিনাশের জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করিতে লোকের মন আকৃষ্ট করা । আর একটি কথা। ইহাদের শিক্ষা দিবার প্রাণালী কি একরূপ ? সংস্কৃত আলঙ্কারিকের বলেন যে, বেদ হইতে যে উপদেশ পাই তাহ আজ্ঞ, পুরাণ হইতে যে উপদেশ পাই তাহ বন্ধুর উপদেশের স্যায় সুপরামর্শ, কিন্তু কাব্য হইণ্ডে যে উপদেশ পাই তাহা কাস্তার উপদেশের স্যায়। কান্ত যেমন নানা প্রকার গল্প গুজব করিয়া মনটি লওয়াইয়া শেষ উপদেশটি বাহির করেন যেটা বাহির করেন সেটা কিন্তু অমোঘ। কবি রাম রাবণের যুদ্ধ বর্ণন করিলেন ; নানারূপ বিচিত্র পদার্থ দেখাইলেন, কখন হাসাইলেন কখন কাদাইলেন, শেষ একটি উপদেশ