86to बघ्राङ्गुञि। . . পৌৰ might appear a gigantic task, it was not greater than what had been achieved in other cases.” * ডাক্তার লাইটনর নিতান্ত নিঃসহায় নন। ই একজন দেশী এবং ইংরেজও ইহার পক্ষ অবলম্বন করিয়াছেন। রেভরও জেমস লঙ সাহেব বলেন যে, তিনি ভারতবর্ষে আসিয়া অবধি ভারতবর্ষীয় কথা সকল রোমান অক্ষরে লিখিতে আরম্ভ করেন । কিন্তু তাহার ফল এই হয় যে, কেবল এক বাঙ্গালা ভাষা ( যাহা ৮ কোট মাত্র লোক দ্বারা ব্যবহৃত হয় ) তাহাতেও তিনি বোমান বর্ণমালা ব্যবহার করিয়া কৃতকার্ষ্য হইতে পারেন নাই। এ বিষয়ে গবৰ্ণমেণ্ট কোন বাধা দেন নাই ; পরীক্ষাও যত্নসহকারে হইয়াছিল, কিন্তু একখানি মু্যটেষ্টমেন্টের অনুবাদ ঐ অক্ষরে মুদ্রিত হয় মাত্র । সে পুস্তকখানি কাগজের মূল্য দিয়াও কেহ গ্রহণ করে নাই, আর দশ জনের অধিক লোক সেখানি পাঠ করিয়াছে কি না সন্দেহ। তিনি আরও বলেন যে, ডাক্তর ডফসাহেব প্রথমে রোমান অক্ষর ব্যবহারের সম্পূর্ণ সহযোগী ছিলেন। কিন্তু তিনিও পরিশেষে সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে, রোমান অক্ষর দ্বারা ভারতবর্ষীয় ফারসী এবং সংস্কৃত ভাষা লিখিত হইতে পারে না । ভারতবর্ষ ইংলণ্ডের মত একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ, নয়, ইহা একটি বিস্তৃত প্রদেশ। এত বড় বিস্তৃত প্রদেশে বণ মালাগত একতা সম্পাদন একপ্রকার অসম্ভব । রাইশউদ্দীন আহমদ বলেন যে, আরবী ভাষাও কখনই রোমান অক্ষরে লিখিত হইতে পারবে না, এবং উর্দুর বিষয়ও ইহা বলা যাইতে পারে যে, উর্দুর এবং আরবীর বর্ণমালাগত কোন বৈষম্য নাই। তবে উৰ্দ্দ বর্ণমালায় সংস্কৃত হইতে কতকগুলি অক্ষর দেওয়া হইয়াছে মাত্র। উর্দু বর্ণমালায় ৫৫টা অক্ষর ; প্রত্যেকের উচ্চারণ ভিন্ন ভিন্ন রূপ । ইংরেজি বা রোমান বর্ণমালায় ২৬টা অক্ষর মাত্র। তাহার মধ্যে w, x এবং y এই তিনটি অক্ষর অনায়াসে পরিত্যাগ করা যায়। তাহা হইলে ২৩ট বর্ণ অবশিষ্ট থাকে ; ২৩ট দ্বারা ৫৫টর কার্য্য যে কিরূপ aহশৃঙ্খলে হইতে পারে, তাহা বুদ্ধিমান একটু বিবেচনা করিলে বুঝিতে পারিবেন। উর্দু, এবং আরবী বর্ণমালায় কিছুই বিভিন্নতা নাই। কোরাণ আরবী অক্ষরে লিখিত, ভারতবর্ষে প্রায় ৮৯ কোটি মুসলমানের বাস। এই সকল মুসলমান যত দিন কোরাপকে মান্ত করিবে, তত দিন উর্দ অক্ষরকে কখনই পরিত্যাগ করিবে না কারণ অন্ত অক্ষরে কোরাণ পাঠ নিষিদ্ধ। মিষ্টর পাসনসাহেব বলেন যে, রোমান বর্ণমালার হস্তলিপিতে যদি (i)র মন্তকে বিন্দু না দেওয়া হয়, এবং ( t )র মস্তকচ্ছেদ না করা হয় তাহা হইলে যে যে
