8૭૦ श्ांबि [ ८भोष সেইরূপ হইবে। এমনস্থলে রোমান বর্ণমালা ব্যবহারের যে উৎসুষ্ট ফল, তাহ বল বাহুল্য ।” - আর একজন লিখিয়াছেন, “যাহারা রোমান বর্ণমালা ব্যবহারের প্রতিবাদ করেন, তাহদের যুক্তিসকল সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। তাহারা বলেন, সপ্ততি বা ততোধিক বর্ণমালার পরিবর্তে একটি পঠনোপযোগী বর্ণমালা সংস্থাপন করা সম্ভাবিত নহে। কিন্তু এতাদৃশ বর্ণমালার অভাবে তাহারা অনেকস্থলে এরূপ ইংরেজির ব্যবহার করেন, যাহার তাৎপৰ্য্য সুস্পষ্ট অক্ষরে লিখিত দেশী ভাষায় প্রকাশ করিলে নিঃসন্দেহ অনেক উপযোগী হইত। প্রতিবাদীরা বলেন, কতকগুলি ইউরোপীয়দিগের সুবিধার নিমিত্ত ভারতবর্ষের চিরসমাদৃত বর্ণমালাস্থলে রোমান বর্ণমালার ব্যবহার উচিত নহে। সত্য, কিন্তু বিবেচনা কর ইউরোপীয়েরা যখন ভারতবর্ষ শাসন করিতেছেন, তখন র্তাহাদের যে অত্রত্য প্রচলিত এবং অপ্রচলিত ভাষা সমূহে বুৎপত্তি লাভ করা উচিত, এ বিষয়ে বোধ হয় কাহারও দ্বিধা নাই। এবং এই প্রতিজ্ঞা সিদ্ধ হইলে ইহার অনুমান স্বরূপ ইহাও স্থির বুঝিতে হইবে যে, যাহাতে ইউরোপীয়গণ সহজে ভারতবর্ষীয় ভাষা সকল অভ্যাস করিতে পারেন, প্রত্যেক হিতৈষী ব্যক্তির তাদৃশ উপায় উদ্ভাবন করা উচিত। এদেশীয় বর্ণমালাস্থলে রোমান বর্ণমালার ব্যবহার হইলে ইউরোপীয়দিগের পক্ষে এদেশীভাষা সম্যক শিক্ষা করিবার যে সহজ উপায় হইবে, এবিষয় প্রত্যক্ষই প্রমাণ। কোন পুস্তক ফারসী এবং রোমান অক্ষরে কাপি করিয়া ছুইজনকে পড়িতে দিলে রোমান অক্ষরে লিখিত পুস্তকপাঠী নিশ্চয়ই অগ্রসর হইবেন। যদি বল ইংরেজেরা যেমন সমধিক চর্চা এবং মনোনিবেশের সহিত অভ্যাস করিয়া জৰ্ম্মণ এবং গ্রীক অক্ষর অনায়াসে পাঠ করিতে পারেন, সেইরূপ অভ্যাস করিলে দেশী অক্ষরেও প্রভূত লাভ করিবেন । ইহা অতি ভ্রান্ত যুক্তি । কেন না দেশী অক্ষরের সহিত জৰ্ম্মণ বা গ্ৰীক অক্ষরের তুলনা হইতে পারে না, কারণ ঐ উভয় বর্ণমালায় এদেশী বর্ণমালা সমূহের মতবিভিন্নতা বা সংযুক্তাক্ষরের হল নাই। সত্য বটে, প্রাচ্যভাষাসমূহে ব্যুৎপত্তি লাভ করিতে হইলে * ব্যাকরণ অভিধান এবং তদ্ভাষায় ব্যুৎপন্ন শিক্ষকের সাহায্য আবশ্বক করিবে, তথাপি রোমান বর্ণমালা ব্যবহার করিলে একদিনে যে ফল লাভ হইবে, এদেশীয় অক্ষরে দশ দিনে তাহা হয় কি না সন্দেহ ।” কোন ব্যক্তি লিখিয়াছেন, “আমরা ফারসী তুকী প্রভৃতি যে সকল মুসলমান রাজ্যের প্রতিদৃষ্টিনিক্ষেপ করি, সেই সকল স্থানের লোকদিগকে অসভ্য, অশিক্ষিত, নিরুৎসাহী, তুৰ্ব্বল এবং ধর্থনীতিশূন্ত দেখিতে পাই। অর্থাৎ খৃষ্টানদিগের
