পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৪৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ԳՀ r बङ्गलभञि [ ςνής বংশছিলকা নিৰ্ম্মিত কপাট খুলিলেন। তর্কালঙ্কার মহাশয় শশব্যস্ত ; ব্রাহ্মণের লোভী আর দক্ষিণাপ্রিয়, কিন্তু অতিথি সৎকারে, অন্নদানে কখন কাতর নহেন। বিশেষ অমরেন্দ্র ৰ্তাহার গোষ্ঠীপালক ; এই উষ্ঠান এই ব্রহ্মোত্তর তাহারই পিতা আশুতোষ বাবুর দত্ত । অমরেন্দ্রবাবুকে কিসে আপ্যায়িত করিবেন, এই ভাবিয়াই তর্কালঙ্কার মহাশয় ব্যস্ত, বেদির দিকট যে জলপাত্র ছিল, তাহা স্বয়ং লইয়া অমরেন্দ্রের মুখে সিঞ্চন করিলেন ; পরক্ষণেই দুই তিনটি চতুষ্পাটির ছাত্র ধুরিয়া একটি ক্ষুদ্র খাট আনিয়া বটতলে সংস্থাপিত করিলেন । তর্কালঙ্কার মহাশয় কহিয়া উঠিলেন, “কাদম্বিনী, মা ! জলমানয় তুমি একান্ত বালিকা লজ্জা কি মা ?” ক্ষুদ্র ঘটকক্ষে কাদম্বিনী নদীতীরে ধীরে ধীরে গমন করিলেন, অমরেন্দ্রনাথ এখন শয্যাশায়ী, নদীর দিকে তাহার দৃষ্টি । মুক্তকেশরী মরালগমন সন্দর্শনে তাহার নয়ন তৃপ্ত হইতে লাগিল ; বোধ হইল, যেন দেখিতে দেখিতে ব্যথার অৰ্দ্ধেক লাঘব হইল। শীতল বটচ্ছায়াতে হউক, বা শু্যামা স্ত্রী সন্দর্শনে হউক, কী ক্লাস্তি বশতই হউক, স্বল্পকাল মধ্যেই অমরেন্দ্র নিদ্রিত হইলেন। কিঞ্চিৎ কাল পরে একজন চিকিৎসক লাউসেন দত্ত ঐনগর হইতে উপস্থিত হইলেন, তিনি অতি যত্বে আহত স্থান দেখিলেন, ও প্রক্ষালিত করিয়া বন্ধন করিলেন । দুই এক বার মস্তক হেলাইলেন, মনে করিলেন, আঘাত নিতান্ত সহজ নহে, পুনৰ্ব্বার বাঘের বিষ নামাইবার জন্য মন্ত্র উচ্চারণ করিলেন, বাড়িলেন, ফুকিলেন, ধুলা ছড়াইলেন, আবার কহিলেন, বাবুর নিদ্রা ইচ্ছা থাকে কিঞ্চিৎকাল এখানে আরাম করুন। সকলেই উদ্যান হইতে বাহিরে আসিল, তর্কালঙ্কার অনতিদূরে বেদিপার্শ্বে উপবেশন করিয়া স্বস্ত্যয়নে নিযুক্ত হইলেন, তাহারই অনুমতানুসারে কাদম্বিনী তালবৃন্ত লইয়া ব্যঞ্জন করিতে লাগিলেন, কিঞ্চিৎকাল পরেই অমরেন্দ্রনাথের তন্দ্র ভঙ্গ হইলে নয়ন উন্মীলন করিয়া দেখিলেন, সম্মুখে ভালবন্ত হস্তে মুক্তকেশী দণ্ডায়মানা। এ মিলন অরুণ উযার মিলন !

  • নিত্য নব, নিত্য হাসে, হাসায় জগতে”

অমরেন্দ্র হস্ত প্রসার করিয়া কহিলেন, “ধর, আমি বসিব।” মুক্তকেশী যেন মনের কোন অনিবাৰ্য্য ভাবোদ্রকে অমরেন্দ্রের ব্যথায় একান্ত ব্যথিত হইয়া করাবলম্বনে র্তাহাকে বসিতে সহায়তা করিলেন, করস্পর্শ সুখলাভে অমরেন্দ্রনাথ তেজীয়ান হইলেন, ব্যাঘ্রকে ধন্যবাদ দিলেন । আহত স্থান যেন এককালে ব্যথাচু্যত হইয়াছে বোধ হইল । এদিকে সন্তানের বিপদ সংবাদে আশুতোষবাবু একান্ত অস্থির হইয়া স্বয়ং তর্কালঙ্কার মহাশয়ের গ্রামে আসিলেন, কিন্তু তিনি অধ্যাপক মহাশয়ের ভদ্রাসন