পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৪৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፅፋሌሎ • - . दबक्रेबि [ धांध নুজুন তেজ ও নূতন সাহস সঞ্চারিত করিলেন। গোবিন্দ প্রবল পরাক্রান্ত মোগল রাজত্বে বাস করিয়া সেই রাজত্বই বিপৰ্য্যস্ত করিতে কুতসঙ্কল্প হইলেন এবং বদ্ধমূল হিন্দু ধৰ্ম্মের আশ্রয়ক্ষেত্রে অভূদিত হইয়া সেই ধৰ্ম্মানুশাসনেরই বিরুদ্ধাচরণ করিতে লাগিলেন। গোবিন্দ সাহসী, কৰ্ত্তব্যপরায়ণ ও স্বজাতিবৎসল ছিলেন। তিনি পৃথিবীর পাপাচার দেখিয়া দুঃখ প্রকাশ করিতেন এবং বিধৰ্ম্মীর অত্যাচারে অপনাদের জীবন সঙ্কটাপন্ন দেখিয়া ক্রোধ প্রকাশ করিতেন। তিনি জানিতেন, মানবজাতি সাধনাবলে মহৎকাৰ্য্য সাধন করিতে পারে, তিনি বুঝিয়াছিলেন যে মানবী ইচ্ছার একাগ্রতা ও মানবহৃদয়ের তেজস্বিতা সম্পাদনার্থ এক্ষণে প্রগাঢ় সাধনার সময় উপস্থিত হইয়াছে। তাহার স্মৃতি বিগত সময়ের ঋষি ও যোদ্ধৃবর্গের কাৰ্য্যকলাপে পরিপূর্ণ থাকিত, তাহার কল্পনা পৃথিবীর শিক্ষাপথ সুপরিষ্কৃত করিবার উপায় উদ্ভাবনায় নিয়োজিত থাকিত এবং তাহার অন্ত:করণ কুসংস্কারের মুদৃঢ় আবরণ ভেদ করিতে সচেষ্ট থাকিত। শিষ্যদিগকে মহাসব করিবার জন্য তাহাদের সম্মুখে ভূতপূৰ্ব্ব কাহিনী কীৰ্ত্তন করিতেন, দেবতাগণ কি প্রকার কষ্ট স্বীকার করিয়া দৈত্যগণের উপর আধিপত্য করিয়াছেন, সিদ্ধগণ কি প্রকারে আপনাদের সম্প্রদায় প্রতিস্থাপিত করিয়াছেন, গোরক্ষনাথ ও রমানন্দ কি প্রকারে আপনাদের অনুশাসন প্রচারিত করিয়াছেন, মহম্মদ কিরূপ কষ্ট বিপত্তি অতিক্রম পুৰ্ব্বক আপনাকে ঈশ্বর প্রেরিত বলিয়া লোকের মনের উপর আধিপত্য করিয়াছেন ইহাই তাহার বর্ণনীয় বিষয় ছিল । তিনি আপনাকে সৰ্ব্বশক্তিমান ঈশ্বরের একজন ভৃত্য বলিয়া নির্দেশ করিতেন । তাহার মতে হিন্দু ও মুসলমানদিগের অমুমোদিত ক্রিয়াপদ্ধতি অকার্যকর, তাহার ধারণায় ঈশ্বরজ্ঞানে পুৰলী অথবা ধৰ্ম্মপ্রবর্তকদিগের উপাসনা ক্ষুদ্রতার পরিচায়ক । তিনি কহিতেন, ঈশ্বর কোন নির্দিষ্ট প্রণালী অথবা কোন নির্দিষ্ট পুস্তকে আবদ্ধ নহেন ; হৃদয়ের সরলতা ও মনের সাধুতাতেই তিনি বিরাজ করিতেছেন। গোবিন্দ এইরূপে আপনার মত প্রচার করিলেন, এইরূপে র্তাহার শিষ্যগণ পৌরাণিক কাহিনী ও উদার উপদেশ শ্রবণ করিয়া মহাপ্রাণ ও মহাসৰ হইতে লাগিল। গোবিন্দ যত্বপূর্বক বেদাধ্যয়ন করিতেন, যত্নপূর্বক বৈদিকতৰ ও বৈদিক ক্রিয়াকলাপের পর্য্যালোচনা করিতেন । ধৰ্ম্মশান্ত্রের আলোচনা করিয়াও তিনি শারীরিক তেজস্বিতালাভের প্রতি উদাসীন হন নাই। কথিত আছে, তিনি লইশ পৰ্ব্বতে যাইয়া অর্জনের বীর্ধ্য, অর্জননের তেজৰিতা লাভের নিমিত্ত গভীর তপস্তায় নিমগ্ন থাকিতেন। ঈদৃশ আত্মসংযম ও ঈদৃশী গভীর টিন্ডার শিখসমিতিতে গোবিন্দের সন্মান ক্রমেই ৰৰ্দ্ধিত হইতে লাগিল। -