পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৪৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>રાન્ડ ] গুরু গোবিজ 嚇 8os গোবিন্দ এক্ষণে নূতন পদ্ধতিতে শিখসমাজ সংশোধিত করিতে প্রাত্ত হইলেন । তিনি শিস্যদিগকে একত্রিত করিয়া কহিলেন, “সৰ্ব্বাস্ত;করণে একেশ্বরের উপাসনা করিতে হইবে। কোনরূপ পার্থিব পদার্থ দ্বারা সেই সৰ্ব্বশক্তিমান পরমপিতার মাহাত্ম্য বিকৃত করা হইবে না । সকলেই সরল হৃদয়ে ও একান্ত মনে ঈশ্বরের দিকে চাহিয়া থাকিবে, সকলেই একপ্রাণ হইয়া একতাসূত্রে সম্বন্ধ হইবে। এই সমাজে জাতির নিয়ম থাকিবে না, কুমৰ্য্যাদার প্রাধান্ত লক্ষিত হইবে না। ইহাতে ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয়, বৈশু শূদ্র, পণ্ডিত মূখ, ভদ্র ইতর সকলেই সমান ভাবে পরিগৃহীত হইবে, সকলেই এক পংক্তিতে এক হাড়িতে ভোজন করিবে ; ইহা হিন্দুদিগের ক্রিয়াপদ্ধতি মুসলমানদিগের ধৰ্ম্মানুশাসন পরিত্যাগ করিবে, তুরুকদিগকে বিনাশ করিতে যত্নপর থাকিবে, এবং সকলকেই সজীব ও সতেজ হইতে শিক্ষা দিবে।” গোবিন্দ ইহা কহিয়। স্বহস্তে একজন ব্রাহ্মণ একজন ক্ষত্রিয় ও তিনজন শূদ্রজাতীয় বিশ্বস্ত শিষ্ঠের গাত্রে চিনির সরবত প্রক্ষেপ করিয়া তাহাদিগকে “খালসা" বলিয়া সম্বোধন কহিলেন ; এবং যুদ্ধকাৰ্য্য ও বীরত্বের পরিচয় সূচক “সিংহ” উপাধি দিয়া আনন্দ প্রকাশ করিলেন। গোবিন্দ স্বয়ংও “সিংহ” উপাধি গ্রহণ করিয়া গোবিন্দসিংহ নামে প্রসিদ্ধ হইলেন । গোবিন্দ সিংহ এইরূপে জাতিগত পার্থক্য দূর করিয়া সকলকেই এক সমভূমিতে অনায়ন করিলেন, এবং সকলের হৃদয়েই নূতন জীবনীশক্তি ও নুতন তেজ সঞ্চারিত করিলেন । জাতিভেদ রহিত হওয়াতে উচ্চ বর্ণের শিষ্যগণ প্রথমে অসন্তোষ প্রকাশ করিয়াছিল, কিন্তু গোবিন্দ সিংহের তেজস্বিতা ও কর্তব্যকুশলতায় সে অসন্তোষ দীর্ঘস্থায়ী হইল না । শিষ্যগণ গুরুর অনিৰ্ব্বচনীয় তেজোমহিমা দর্শনে আর বাঙ নিম্পত্তি না করিয়া’যথানিৰ্দিষ্ট কৰ্ত্তব্যপথে অগ্রসর হইতে লাগিল । তাহারা একেশ্বরবাদী হইয়া আদিগুরু নানক এবং তাহার উত্তরাধিকারিবর্গের প্রতি যথোচিত সন্মান প্রদর্শন করিতে লাগিল, রাজপুতদিগের ন্যায় সিংহ উপাধিতে বিশেষিত হইয়া দীর্ঘকেশ ও দীর্ঘ শ্মশ্র রাখিতে লাগিল, এবং অস্ত্র শস্ত্রে সুসজ্জিত হইয়া প্রকৃত যুদ্ধবীরের পদে সমাসীন হইল। তাহাদের পরিচ্ছদ নীলবর্ণ হইল * *ওয়া ! গুরুজি কি খালসা ! ওয়া ! গুরুজি কি ফতে !” ( গুরু কৃতকাৰ্য্য হউন, জয়ন্ত্র তাহাকে শোভিত করুক ) তাহদের সম্ভাষণ ৰাক্য হইল। গোবিন্দ • আরব্য ভাষা হইতে “খালসা" শশ্বের উৎপত্তি হইয়াছে। ইহার অর্থ পৰিত্ৰ, বিমুক্ত। যে ভূমির সহিত অপরের কোন সংশ্ৰব নাই সচরাচর সে ভূমিকে খালসা বলা যায়। গুরু গোবিন্দ এই জঙ্ক শিখদিগের সাধারণ সংজ্ঞা "পালসা" দেন । + cणाबिम निशrश्ब्र अडिडैिड अकॉर्जौ नांबक लिष नच्यबांग्र अन्नानि नैौणदाद्रि পরিচ্ছন্ন ধারণ করিা থাকে।