পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Geß बजभ*{ञ [ भांषि পরের কথায় কাজ কি ? আমরা নিজেই দেখিতে পাই এই সকাল বেলায় বোধ হইল, সব ভাল চলিতেছে বড় আনন্দ ; আবার বৈকালে বোধ হুইল সব মন্দ । আজ ভাবিলাম পৃথিবীতে পাপ অপেক্ষ পুণ্য দুঃখ অপেক্ষ মুখ অধিক, আবার খানিক গোঁণে ঠিক উল্টা ভাবিলাম । এরূপ নিত্য বিরোধের অর্থ কি ? কেন এরূপ ঠিক বিপরীত প্রতীতি মনোমধ্যে উদয় হয় ? কেনই বা কতক লোক একেবারে ডুব লো ডুবলে, আবার আর কতক উঠলে উঠলো বলে। শুধু বলিয়াই ত ক্ষান্ত নয় তাহাদের মনোমধ্যে দৃঢ়সংস্কারই এই —অনেকে এইরূপ সংস্কারের বশবর্তী হইয়া নানারূপ কষ্ট পায়। তাহাদের জীবনের প্রত্যেক দিনেই পূৰ্ব্বোক্তরূপ সংস্কারের কার্য্যকলাপ প্রকাশ পায়। প্রথম মনে হইতে পারে বৃদ্ধলোক “ডুবলোর” পোষক আর যুবকেরা “উন্নতির” পোষক। কিন্তু তাহা নহে, চুদলেই যুবাও আছেন বৃদ্ধও আছেন। বরং অনেক যুবা “ডুবলোর” অধিক পক্ষ। এই পরস্পর বিরোধী মতদ্বয় শুনিলে প্রথম জিজ্ঞাস্ত এই যে, কেন এত মতভেদ হয়, দ্বিতীয় এই যে এ দুইয়ের মধ্যে কোনটার কতটুকু সত্য। দুইই সম্পূর্ণ সত্য হইতে পারে না তবে একটা সত্য হউক। অধোগতিই সত্য হউক ; পৃথিবীশুদ্ধ লোক ক্রমশ: অধিক মিথ্যাবাদী হইতেছে, অধিক চোর হইতেছে, অধিক আহাম্মুক হইতেছে, দুঃখী হইতেছে, অধিক কষ্টভোগ করিতেছে এই সত্য হউক । কিন্তু ইহাতে প্রত্যক্ষ প্রমাণবিরুদ্ধ গত শতাব্দীর লেখাপড় তুলনা করিলে কি দেখা যায় ? মিথ্যা কথার অবশ্য হিসাব নাই কিন্তু চুরি কমিতেছে, লোক অধিক সেয়ান হইতেছে, দুঃখ হ্রাস হইতেছে ধন বৃদ্ধি হইতেছে, এ সকল ত প্রত্যক্ষ লেখা পড়ার কথা, statistics এই বলে। অতএব ভুবলে মত ঠিক নহে । তবে কি উন্নতি মত ঠিক ? পৃথিবীশুদ্ধ লোক ধাৰ্ম্মিক হইতেছে, ধনী হইতেছে, কলহ নাই, বিবাদ নাই, সকলই উল্পত হইতেছে । সভ্যতাম্রোত্তে জগৎ ভাসিয়া যাইতেছে। এই মত কি সত্য ? তা যদি সত্য হইত ত পৃথিবীই ত স্বৰ্গ, আর স্বর্গকামনায় কাজ কি ? তাও নয় । সৰ্ব্বাঙ্গীণ সৰ্ব্বজাতীয় উন্নতি ঠিক নহে। প্রত্যক্ষপ্রমাণ, মুসলমানেরা ক্রমশঃই অধঃপাতে যাইতেছে। হিন্দুস্থানের মুসলমানেরা ত বাবুগিরি করিয়া ইশ্রিয়দোষে মনুষ্যনামের অযোগ্য হইয়া পড়িতেছে। তাহার পর এই একশত বৎসরের মধ্যে তুর্কি ধ্বংস হইল, পারসিয়া রুসিয়ার করায়ত্ত হইয়া আসিতেছে। ঈজিপ্ত যায় যায় হইয়াছে অথবা গিয়াছে, তাহারা পরের হাতে রাজকাৰ্য্য দিয়া স্বয়ং ঘরে বসিয়া থাকে