পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ઝરીના ] `अधूबाजांछिद्र फ़ेब्रडि &eq এই সময়ে পাশ্চাত্য রোমান সাম্রাজ্য অসভ্য বৰ্ব্বরজাতির হস্তে পতিত হইল। গল, বৃটেন, স্পেন, ইতালি প্রভৃতি সভ্যদেশ হইতে সভ্যতা দূরীভূত হইল। প্রাচ্য রোমানদেশও পুরোহিতের আধিপত্যে মগ্ন হইয়া নিস্তেজ নির্বিবর্য্যপ্রায় রহিল । সুতরাং সমস্ত ইউরোপ যেন অন্ধতমসাচ্ছন্ন হইয়া পড়িল। কিন্তু ঠিক এই সময়েই ভারতবর্ষের গৌরবের দ্বিতীয় দিন উপস্থিতপ্রায় । এই সময়ে ভারতবর্ষীয়ের পাশ্চাত্যআক্রমণকারীদিগকে দূরীভূত করিয়া, নানাবিধ কাব্যকলাপ সৃষ্টি করিয়া, জ্যোতিষাদি শাস্ত্রের গুহ্য তত্ত্ব আবিষ্কার করিয়া, সভ্যতার চূড়ান্ত করিয়া তুলিলেন । ৪৬ খৃঃ অব্দে রোমে বর্বরাধিপত্য স্থাপিত হইল ৫১১ খৃঃ অব্দে রবাহমিহির অমূল্য জ্যোতিষ তত্ত্ব রচনা করিলেন। সম্ভবতঃ কালিদাসও এই সময়ের লোক । আবার ঠিক এই সময়েই চীনের এক নূতন উন্নতির সময় । এই সময়েই চীনবাসীরা প্রাচীন সংস্কৃত বৌদ্ধগ্রন্থ সকল অনুবাদ করিতেছে আর চিনের পবিত্ৰাজকেরা ভারতবর্ষে ভ্রমণ করতঃ স্বদেশের জ্ঞানোন্নতিসাধন করিতেছে, আবার আরবদেশ এই সময়েই এক ভীষণ সমাজবিপ্লবের জন্য প্রস্তুত হইতেছে, প্রাচীন পারস্তেরও অবস্থা এ সময় খুব ভাল । বোমেৰ ধ্বংস হেতু জগতের যে অনিষ্ট হইয়াছিল এতগুলি দেশের উন্নতিতে তাহার কি সামঞ্জস্য অপেক্ষা অধিক হইল না ? যখন প্রায় সমস্ত পৃথিবীর লোকের উন্নতি হইতেছে তখন এক রোমানসাম্রাজ্যেব ধ্বংসে কত ক্ষতি হইবে । বাস্তবিক জগতের উন্নতি হইতেছে বা অবনতি হইতেছে নির্ণয় করিতে হইলে যে প্রাণালীতে আমবা এতক্ষণ যাইতেছিলাম সে প্রাণালীতে যাইতে সুবিধা হইবে না, উহার আর এক উপায় আছে। যেমন বাহাজগতে উৎপত্তি স্থিতি ও লয় দেখা যায়, যেমন মনুষ্যের জন্ম মৃত্যু দেখা যায় এইরূপ মনুষ্যজাতির হউক আর নাই হউক ভিন্ন ভিন্ন মনুষ্যসমাজের উৎপত্তি স্থিতি ও লয় আছে । মনুষ্য যতক্ষণ নিজে আপনার জন্য সব করিয়া লয় ততক্ষণ সমাজ হয় না, যে মুহূর্তে মনুষ্য পরস্পরের মুখাপেক্ষা করিতে আরম্ভ করে যে সময় হইতে রাম হরির বোনা কাপড় পরিতে ও হরি রামের চাষের চাল খাইতে থাকে সেই সময় হইতে সমাজ আরম্ভ। যতক্ষণ সকল লোকই আপন আপন উদরায়ের জন্য দিবারাত্রি পরিশ্রম করে ততক্ষণ সমাজের উন্নতির সম্ভাবনা নাই। উন্নতি হইতে গেলে সমাজমধ্যে এমন একদল লোক চাই যাহাদের সাক্ষাৎ সম্বন্ধে কৃষিকার্য্যে বা শিল্পকার্য্যে লিপ্ত থাকিতে হয় না, যাহারা সমাজের লোককে শিক্ষা দেয়, শাসন করে, সৎপথে প্রবর্তিত করে। ইহারা শিক্ষিত লোক, এই দলের উন্নতিতেই সমাজের উন্নতি । সুতরাং এই দলের সংখ্যা যত বৃদ্ধি হয় ততই মঙ্গল কিন্তু সংখ্যাবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ইহাদের মানসিক উন্নতিও হওয়া চাই । নচেৎ বড়ই সৰ্ব্বনাশ । যদি ইহাদের