পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ve ] मथूषग्रजांडिग्न ऐल्लडि (te: পৃথিবীর যে অংশে সে সমাজ থাকিবে সে অংশে পক্ষপাতগ্রস্ত অঙ্গের স্যায় নিস্তেজ ও চলৎশক্তিবিহীন হইয়া পড়িবে। এইরূপ দেখান গেল যে সকল সমাজের উৎপত্তি স্থিতি ও লয় আছে । প্রায়ই দেখা যায় যে, যে সমাজের ধ্বংস হইতেছে তথাকার শিক্ষিত লোকেরাই ডুব লো মন্ত্রের উপাসক,আর যেখানে সমাজের উন্নতি হইতেছে সেইখানকার লোকই উন্নতি মতের প্রতিপোষক। যেমন জগতে মৃত্যু অপেক্ষা জন্ম অধিক সেইরূপ পৃথিবীর সর্বত্র সমাজধ্বংস অপেক্ষা সমাজস্থিতি ও উৎপত্তি অধিক, সুতরাং অধিক লোক উন্নতিবাদী । ইহাতে একমাত্র বাদ আছে--পুরোহিত জাতি সৰ্ব্বদেশে সৰ্ব্বকালে “ডুবৃলো" বাদ । সুতরাং যে দেশে পুরোহিতের ক্ষমতা নাই সেখানে “ডুবৃলোর” বড় অাদর নাই। যেমন সমাজের উন্নতি অবনতি আছে তেমনি সমাজের বিশেষ বিশেষ অংশেরও উন্নতি অবনতি আছে। সৰ্ব্বত্রই উন্নতি অপেক্ষ অবনতি কম। সকল সমাজেই সমাজের সাধারণ উন্নতির সঙ্গে সঙ্গেই ধৰ্ম্মযাজক সম্প্রদায়ের অবনতি দেখা যায়। সুতরাং যত সমাজের উন্নতি হয় ততই ধৰ্ম্মযাজকগণ ডুবলে ডুবলো বলিয়া গোল বাধান, কিন্তু কে র্তাহাদের কথা শুনে। যে সম্প্রদায়েরই যখন অবনতি তাহারাই তখন ডুবৃলো বলিয়া উঠে। অতএব বড় বড় সমাজেও যেমন, সমাজের মধ্যবৰ্ত্তী সম্প্রদায় সমূহে তেমনি, একই নিয়ম। আমাদের প্রথম প্রশ্ন ছিল যে, কেন উন্নতি ও অবনতি দুই মতাবলম্বীর লোক হয় ? তাহার উত্তর একপ্রকার দেওয়া হইল। এখন দেখিতে হইবে যে, এই দুই মতের কোনটীতে কত সত্য আছে । প্রমাণ করা হইয়াছে যে, সকল সমাজেরই উন্নতি ও অবনতি আছে । আজি মুসলমান অস্ত যাইতেছে কাল খ্ৰীষ্টিয়ান অস্ত যাইবে, হিন্দু বহুকাল অস্ত গিয়াছে। আজই দেখিতেছি খ্ৰীষ্টিয়ান উন্নত, মুসলমান অস্তমিত, হিন্দু ধ্বংসাবশেষ মাত্র। কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন সমাজের উন্নতি অবনতি হইলেও সাধারণতঃ মানবজাতির ক্রমেই উন্নতি হইতেছে। তাহার ধ্বংস নাই, সে উন্নতি অবিশ্রাস্তু। সমাজবিশেষের অবনতি হইলেও সে সমাজ জগতের কোন না কোন উন্নতি করে, উন্নতি করা যেন সমাজ মাত্রেরই মিশন। নিজের উৎপত্তি হয় স্থিতি হয় ধ্বংস হয় কিন্তু উন্নতিসময়ে সে সমাজ যদি একটা নূতন কথা কহিয়া যায়, একটি নূতন আবিক্রিয়া করিয়া যায়, একটি বিষয়ে জড়জগতের উপর ময়ূন্যের আধিপত্য বিস্তার করিয়া যায়, তবে সে তাহার মিশন পূর্ণ করিয়া গেল। সেই নূতন আবিক্রিয়া, ক্রমে সমস্ত মানবজাতির উপকার সাধন