পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

કરન્ટ ] बांथरोंौलडां " " 4אצ তোমার সঙ্গে রাজপুত্রের বিবাহ হবে, তখন তুমি সোণার ধামিতে খই খাবে, কেমন পুটু ?” পুটু আবার হাসিয়া তুই হাত বাড়াইল। মা মুখচুম্বন করিয়া চলিয়া গেলেন । যাইবামাত্র আবার কাক আসিল । এবার চালে না বসিয়া পুটুর নিকট আসিয়া বসিল । পুটু ভয়ে চক্ষু বুজিল। কাক ক্রমে খইগুলি সংগ্ৰহ করিয়া উড়িয়া গেল। তখন পুটু চক্ষু চাহিয়া ধামি দেখিয়া কাদিতে. লাগিল। ক্ৰন্দন শুনিয়া পুটুর মা দৌড়িয়া আসিলেন, ধামি শূন্ত দেখিয়া প্রথমে কাককে পরে আপনার অদৃষ্টকে গালি দিতে লাগিলেন। শেষ পুটুকে ক্রোড়ে লইয়া চোখের জল মুছাইতে মুছাইতে বলিতে লাগিলেন “কেন মা এ অভাগিনীর , গর্ভে জন্মিয়াছিলে ? আবার এখন খই আমি কোথা পাইব ?” পুটু শীঘ্রই কান্না ভুলিয়া গেল, আপনিই চক্ষের জল মুছিল কিন্তু মুছিতে গালে নাকে হাতে চক্ষের অঞ্জন লাগিয়া গেল । “ঐ ! কি করিলি” বলিয়া গর্ভধারিণী গাত্রমার্জনী আনিয়া কালি মুছাইতে মুছাইতে বলিতে লাগিলেন “পুটু আমার কেমন মুন্দর মেয়ে, পুটু আমার আজ আবার রাজার কোলে উঠিবে— রাজা আবার আজ কোলে লইতে আসিবেন, না পুটু ?” মাধবীলতার আদরের নাম পুটু । গৃহমধ্যে এইরূপে যখন গর্ভধারিণী মাধবীলতাকে লইয়া আদর করিতে ছিলেন সেই সময়ে রাজপথে একজন করেকুন আসিয়া নিকটস্থ গৃহস্থদিগের নাম ইত্যাদি লিখিয়া লইতেছিল, কাহার কাহার বাটীর দৈর্ঘ্য প্রস্থ মানদণ্ডের দ্বারা পরিমাণ করিতেছিল। গৃহস্বামীদের আর ইহা দেখিয়া বুঝিতে বাকি রহিল না। এক্ষণে গৃহ ত্যাগ করিয়া যাইতে, হইবে তাহাদের নিশ্চয় বোধ হইল। গৃহস্থের পক্ষে ইহা, অপেক্ষা দুর্ভাগ্যের বিষয় আর কি আছে! পূর্বের হাস্ত রহস্ত কাজেই লোপ হইল, সকলেই গম্ভীরভাবে দাড়াইয়া মনে মনে মাধবীলতার পিতা রামানুজকে তিরস্কার করিলে লাগিল । রামানুজ তৎকালে বাট ছিলেন না, প্রাতেই আহাৰ্য্য দ্রব্য সংগ্রহের নিমিত্ত বহির্গত হইয়াছিলেন। কিয়ৎকাল পরে তিনি আসিয়া উপস্থিত হইলেন। বস্ত্রাগ্রে কতকগুলি শাক, কদলি, বিল্বপত্র, হস্তে একটি বাৰ্ত্তাকু। তাহাকে চিনিবামাত্র চোপদার আসিয়া প্ৰণাম করিল এবং যোড়করে বলিল যে র্তাহার সেবায় যে সকল দাস দাসী নিযুক্ত হইয়াছে তাহারা আগতপ্রায়, বস্ত্ৰ অলঙ্কার ও অন্যান্য জব্যাদি লইয়া আসিতেছে। জাপাততঃ চারিজন দ্বারবান উপস্থিত আছে, তাহার যেরূপ অমুমতি হয় । রামানুজ কিছুই বুঝিতে পারিলেন না, চোপদার আর কাহাকে নিবেদন করিতেছে মনে করিয়া পশ্চাতে দেখিলেন সে দিকে কেহই নাই। হতবুদ্ধি হইয়৷ শাক