পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জালি মাত্রেই বাঙ্গালার শ্ৰীবৃদ্ধি কামনা করেন । কতকগুলি নৈসৰ্গিক কারণ বঙ্গোন্নতির প্রতিকুল আছে। সেই সকল কারণের সমালোচনা প্রায় কেহই করেন না । ঈদৃশ সমালোচনা এই প্রস্তাবের মুখ্য উদ্দেশু। একজন মুসলমান গ্রন্থকার লিখিয়াছেন, “বঙ্গভূমির উর্বরতা দেখিলে বাঙ্গালাকে পার্থিব নন্দনকানন ( বেহেস্তই আলম ) বলা যাইতে পারে, কিন্তু তথাকার জল ও বায়ু এমন দূৰ্য্য, যে সে দেশকে নরকের প্রান্তভূমি বলিলে অত্যুক্তি হয় না ।” প্রথম পরিচ্ছেদ উর্বরতা ও পৌরুয ভূমির উর্বরতা যে মহামঙ্গলময়ী ইহা বলা বাহুল্য। বুভূক্ষার স্তায় মমুন্যের কোন প্রবৃত্তি বলবতী নহে । সংসারে প্রায় সকলেই আহারের সংস্থান জন্ম প্রত্যহই ব্যস্ত ; অতএব ভূমির যে গুণে আহাৰ্য্যের উৎপত্তি হয়, সেই গুণের কীৰ্ত্তন জন্ত মসিব্যয় করায় প্রয়োজন নাই । ভারতবর্ষের নানাপ্রদেশে অনাবৃষ্টিজাত ছভিক্ষে লক্ষ লক্ষ প্রাণীর মৃত্যু হইয়াছে। উর্বরতা গুণে বহুকাল বাঙ্গালার সে তুর্দশা ঘটে নাই। উৰ্ব্বরতা মহোপকারসাধিনী হইয়াও নিরবচ্চিয় মঙ্গলের কারণ নহে । যাহার স্বল্পায়াসলন্ধ ভক্ষ্য পাইয়া সন্তুষ্ট হয়, তাহার প্রায় শ্রমশীল হয় না। শ্রমাভাবে পৌরুষের হানি হয় । উর্বর দেশবাসীর প্রায় কোথাও পৌরুষ জন্ম বিখ্যাত নহে । বাঙ্গালিদের পৌরুষের পরিচয় দিবার প্রয়োজন নাই । গত বারশত বৎসরের ইতিহাসের পর্য্যালোচনা করিলে আসিয়ার অধিৰাসীদের মধ্যে আরবীয়ের বলবিক্রমে সর্বপ্রধান, এবং তাতারগণ প্রায় আরবীয়দের