পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮৫ ] ८जन स्रवन्हों* * ¢११ না। সন্ধ্যার অর্থ যতদিন সংস্কৃত ভাষায় গোপন আছে ততদিন তাহার মহিম অপ্রতিহত চলিয়া আসিতেছে। পাসি ধৰ্ম্ম সম্বন্ধেও তাহাই হইয়াছে । জেন্দ অবস্থা পার্সির কেহ বুঝেন না তাহাই তাহাদের নিকট জেন্দ অবস্থার এত গৌরব। জেন্দ অবস্থার মূল প্রণেতার নাম জরতুষ্ট্র অথবা জরোস্তর। ইদানীং কেহ কেহ তাহাকে জরদোস্ত বলেন । তিনি যাহা বলিয়াছিলেন তাহা প্রথমে সহস্ৰাধিক বৎসরের মধ্যে লিখিত হয় নাই। স্মৃতিরূপে শিষ্য প্রশিষ্য দ্বারা চলিয়া আসিয়াছিল পার্সিদের মধ্যে যে জেন্দ অবস্থা প্রচলিত আছে তাহা মক্ষমূলার বলেন প্রায় সতের শত বৎসর হইল লিখিত হইয়াছিল। জরতুষ্ট্র নিজে সমুদয় জেন্দ অবস্থা রচনা করেন নাই কতক তিনি করিয়াছিলেন বাকী তাহার শিষ্য প্রশিয্যেরা করিয়াছিল । পুরাতন গ্রন্থ মাত্রেই এইরূপ হইয়া থাকে। ধৰ্ম্মপ্রচারকগণ বলিয়া থাকেন যে ঈশ্বরের আদেশমত ধৰ্ম্মগ্রন্থ লিখিত হয় তিনি নিজে কোন কথার উপদেশ দেন না আর একজন তাহার মধ্যবৰ্ত্ত থাকে। ঈশ্বরের আদেশ মতে মহাম্মদ কোরান সরিফ প্রচার করেন সে স্থলে মধ্যবৰ্ত্তী গেৰ্বল ছিলেন । গেৰ্বল আসিয়া মহম্মদের কর্ণে ঈশ্বর আদেশ জানাইয়া যাইতেন মহম্মদ তাহা চেলাদের নিকট প্রকাশ করিতেন । চেলারা তাহাই অভ্যাস করিত। জেন্দ অবস্থায় সেই প্রথা অবলম্বন করার কথা আছে। জরতুষ্ট্র ঈশ্বরবাক্য অশ্মজের নিকট শুনিয়া প্রচার করিয়াছিলেন । অৰ্ম্মজ আমাদের ব্ৰহ্মার স্যায় স্বষ্টিকৰ্ত্তা, তিনিই প্রথমে অরণ্যবীজ নামে দেশ স্মৃষ্টি করেন তথায় জরতুষ্ট্রর জন্ম হয়। অরণ্যবীজ কেহ বলেন আর্য্যবীজ। অরণ্যবীজ শব্দ ভারতবর্ষীয়দের মধ্যে নিতাস্ত অপরিচিত নহে । * অদ্যাপি বাঙ্গালার বৃদ্ধারা রাজা রাণীর গল্পে বনের বর্ণনা করিতে হইলে অরণ্যবীজের উল্লেখ করিরা থাকে। 'অরণ্যবিজুবন' র্তাহারা বলিয়া থাকেন । জেন্দ অবস্থার মতে পৃথিবী সৃষ্টি করিতে একবৎসর লাগিয়াছিল। পৃথিবীর পরমায়ু দ্বাদশ সহস্ৰ বৎসর। এই বার হাজার বৎসর চার যুগে বিভক্ত। প্রত্যেক যুগ তিন হাজার বৎসর করিয়া স্থিতি। প্রথম তিন হাজার বৎসর পৃথিবীর সৃষ্টি ও উন্নতি। দ্বিতীয় যুগে আদি মন্থয্যের নিৰ্ব্বিয়ে জীবন যাপন, অপ্রতিহত মুখ । তৃতীয় যুগে দুঃখের আগমন সুখ দুঃখের যুদ্ধ। এক্ষণে সেই যুগ চলিতেছে। চতুর্থ যুগে দুঃখের পতন ও মুখের রাজ্য। क्षुः ।