পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|32, चणश्4ं [ करून কৌশলের কৰ্ম্ম, আমি খাটিয়াতে ঘুমাইতেছিলাম, প্রথমে দস্থ্যগণ বান্ধিয়া গিয়াছিল, পুনরায় এই পথে পলাইবার সময়ও আমাকে বান্ধা দেখিয়া গিয়াছে, মধ্যে যে আমি তাহাদের সর্দারকে ছাদের উপর খুন করে রেখে এসেছি তা জানে না— এই বিমাল দেখুন—”–এই কথা বলিয়াই গোপাল একটা বহুমূল্য অলঙ্কার দেখাইল—তার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধনমুক্ত হইল। এখনও নিশাকাশ ঘোর রহিয়াছে, অমনি দারগা দলবলসহ বাৰু শিবসহায় সিংহের গৃহাভিমুখে চলিলেন, তুইজন বিশ্বন্ত পদাতিক সহিত দারগা সাহেব গুহের সমস্ত স্থান পরিদর্শন করিলেন । গৃহের আকারটি ভয়ানক। সকল কপাটই খোলা “খাই খাই” করিতেছে। গৃহবাসিগণ অপরপৃহে আশ্রয় লইয়াছে। দারগার আগমন সম্বাদে এক একজন হস্তপদভগ্ন বা অন্ধদাহিত অঙ্গ ভূত্য আসিয়া ক্ৰন্দন আরম্ভ করিল ; কারও পৃষ্ঠে খোচার দাগ, কার মস্তক-ত্বক ভোতা তলবারে কর্ষিত – বাহিরের মালখানার ভাণ্ডারির সব্বাপেক্ষা দুর্দশা, তাহার নিকট হইতে কুঞ্জিকা লইবার জন্ত স্থানে স্থানে মশালায়িতে দগ্ধ করিয়াছে, কারণ রাঙ্গা ঠাকুরাণীর প্রদত্ত দুই সহস্র টাকার থলিটি তাহারই জিন্মায় ছিল । গৃহের চতুস্পার্শ্বে অৰ্দ্ধদক্ষ মশাল, টাটি, তৈলভাগু, তাল-শাখানিৰ্ম্মিত চুণলেপিত তরবাল প্রভৃতি স্থানে স্থানে পতিত, বহিদ্বারে কপাটে কয়েকটি টাঙ্গির প্রহার মাত্র দৃষ্ট হইল। বৃদ্ধ রামা ভূত্য কহিল, “আমি সত্যনারায়ণের পূজাস্তে শিরণি বণ্টন করিয়া তামাক খাইতেছি আর বেটার হঠাৎ আসিয়া পড়িল ৷ কপাট ভালরূপ বন্ধ করিতে পারি নাই ; একটা মাত্র খিল দিয়াছিলাম, ভাঙ্গিয়া ফেলিবার উদ্যোগ দেখিয়া ঐ পূজার দালানের বড় সিড়ির নীচে ফুকরে হামা দিয়া লুকাইয়াছিলাম।” দারগা কহিলেন, “তুমি অবশুই দুই চার জন ডাকাইতকে চিনেছ।” রাম কহিল, “তা বড় বলিতে পারি না।” দারগা মনে মনে ভাবিলেন, না বলিলে কেন হবে । দুই চার জনকে না চিনিলে এমন বড় মোকৰ্দমা প্রমাণ হয় ? এই কথার পর দারগাসাহেব, ছুইজন বিশ্বস্ত পদাতিক ও গোপাল চৌকিদার সঙ্গে প্রাসাদোপরি আরোহণ করিলেন ; তথায় দেখিলেন, এক কাল মূৰ্ত্তি ভীষণকায় দস্থ্য মৃতপ্রায় হইয়া প্রাসাদে পড়িয়া রহিয়াছে । সাৰ্ব্বঙ্গে তৈল মন্দিত, রক্তপ্লাবনে কেশদল ভিজিয়া অঙ্গে কয়েকটি রেখা হইয়া ফোটা ফোটা করিয়া ছাদে পড়িয়াছে ; এক ক্ষুদ্র বস্ত্র দস্যর শ্মশ্র কর্ণদ্বয় হইয়া মুগুচূড়ে আবদ্ধ—কপাল, চক্ষু, নাসিকার যে ভাগ বস্ত্রের বাছিয়ে রহিয়াছে তাহ কালিতে লেপিত ও সেই প্রলেপের উপর বৃহৎ বৃহৎ চুণের ক্টোটা। উৰ উপস্থিত, কিন্তু গগন এখনও ঘোর রহিয়াছে, দম্য নয়ন বদ্ধ করিয়া রহিয়াছে অনেক চেষ্টাতেও কোন উত্তর দিল না। সে আর কথা কহিবে না, লজ্জায় মুখ দেখাইবে না, তাহার ধাতু ক্ষীণ হইয়াছে, ডাক্তার সাহেবের পরীক্ষার জন্ত প্রেরণ