পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮* ] जल्लेiथांद्यैौब्र ८ब्रांजञांबछां NVG আশ্রমের নিকটবৰ্ত্তী স্থানে উপনীত হইয়া কাদম্বিনীকে কহিলেন, “ঐ তর্কালঙ্কারগৃঙ্গে যাও, কহিও গুরুদেবই তোমাকে রক্ষা করিয়াছেন। গোপাল চৌকিদার অনেক সাহায্য করিয়াছে, দেখ যেন কোন মতে আমার নাম প্রসঙ্গে প্রকাশ না পায়।” কাদম্বিনী আশ্রমকাননে প্রবেশ করিলেন । অন্ধকার গগন ভেদ করিয়া অমরেন্দ্রনাথ সন্তুষ্ট মনে আপনার প্রাসাদ লক্ষ্য করিয়া প্রিয় ঘোটককে চালিত করিলেন। তাহার অস্ত্র সকল শোণিত স্পর্শ করে নাই—তরবাল কোষমধ্যেই রহিয়াছে, মনে করিতেছেন, লোকের কি ভ্রম, ডাকাত মারিতে কি বীরত্ব দরকার করে ? তাহারা নৃশংস বিশ্বাসঘাতকী লোক, প্রকৃত সাহসী জনকে তাহারা যম স্বরূপ দেখে ” এই প্রকার ভাবিতে ভাবিতে আসিতেছেন, এমত সময়ে দেখিলেন একটা শুশ্রীধারী অশ্বারোহী পুরুষ দল বলে শান্তিপুরাভিমুখে যাইতেছেন। অমরেন্দ্ৰ নাথ একটা জঙ্গলবেষ্টিত বটবৃক্ষপার্শ্বে স্থির ভাবে লুক্কায়িত রহিলেন। তাহাদের কথায় জানিলেন দারোগা সাহেব ডাকাত ধরিতে যাইতেছেন । কিয়ৎকাল পরেই পাটনির নাম ধরিয়া হাক পড়িল। কারণ পাটনি না আসিলে পুলিসের বীরগণের নদীপার হইবার উপায় কি ? অমরেন্দ্র এই ভাবিয়া মনে মনে হাসিতে হাসিতে চলিতেছেন, এমন সময় আবার ঘড়ি বাজিয়া উঠিল, তিনি জানিতে পারিলেন যে, আবাব ঘরে আসিলেন, আবার রোগীর বেশে শয্যাশায়ী হইতে হইবে । 象 উনত্রিংশ পরিচ্ছেদ দারগার চালাকি 豪 বীরপুরুষ দারগার নদীপার হইতে একঘণ্টা মাত্র দেরি হইল তিনি ওজোগুণশালী কৰ্ম্মণ্য কৰ্ম্মচারী, অপর লোক হইলে হয়ত পার হইতে প্রভাতের তারা এখানেই উদয় হইত। পাঠক হাসিবেন না, এই চালাকিতে গোলাম রহমান “ভেরি গুড” অর্থাৎ প্রথম বর্গভুক্ত হইয়াছেন—ঢাল, ক্রিচ পুরস্কার পাইয়াছেন, কবে ফৌজদার হইয়া পড়িবেন। আবার লোকে বলাবলি করে আসছে দরবারে “খ বাহাদুর" উপাধিও পাইবেন। যাহা হউক দারগা সাহেব ওকু-স্থলে পেছিবার পূর্বেই “জাল গুড়াইয়া” ডাকাতগণ “চম্পট” দিয়াছে—গোপাল চোকিদার আবার হাত পায়ে দড়ি বান্ধাইয়া কঁাদিতেছে, বান্ধী লোককে মারা বড় সহজ, দারগা সাহেব স্বয়ং গোপালকে দুই একটি প্রহার করিলেন—গোপাল কছিল *ক্ষমা করুন, মাল, চোর সব হস্তগত করিব । এই যে বান্ধা দেখিতেছেন এ