পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

662 - भाववैजेख्। " ( هانهد রামসেবক বড়ই কষ্টে পড়িলেন । কোথায় যান ? পূর্বে র্তাহার যতই কষ্ট থাকুক তিনি আপনার গৃহে নিৰ্ব্বিয়ে থাকিতে পারিতেন, এক্ষণে সে মুখ গেল। তখনকার প্রচলিত কথা ছিল যে “পরড়াতি ভাল, ত পর বরি কিছু নয়।” রামসেবক এক্ষণে প্রকারাস্তরে ‘পরঘরি হইলেন । আপনার ঘরে পরের নিমিত্ত র্তাহাকে কুষ্ঠিত থাকিতে হইল। কেন হইল তাহা বুঝিতে না পারিয়া রামসেবক সিদ্ধান্ত করিলেন যে যাহাদের দাসদাসী আছে তাহারা সকলেই এইরূপ "পরঘরি।” অনেকে নিজের ঘরে পরঘরি। বিশেষতঃ হিন্দুসংসারে । ইংরেজদের মধ্যে পরঘরি হইতে বড় ভয় । এই জন্য পিতা পুত্রে স্বতন্ত্র। রামসেবক খিড়কিদ্বার দিয়া বহির্গত হইলেন, পথে একজন প্রতিবাসীর সহিত সাক্ষাৎ হইল। প্রতিবাসী একটু ঈষৎ হাসিলেন ; রামসেবক বলিলেন চল ভাই তোমার বাটতে যাই । প্রতিবাসী বলিল আমার কাজ আছে । পরে অন্য পথে চলিয়া গেল । রামসেবক ইতস্তত: পরিভ্রমণ করিয়া মধ্যাহ্নকালে খিড়কির দ্বার দিয়া গৃহপ্রবেশ করিলেন । আহারাস্তে আবার খিড়কি দ্বার দিয়া চলিয়া গেলেন । 縣 অপরাহ্নে পুটুর মাতা একাকী শয়ন ঘরে বসিয়া ভাবিতেছেন। ইতিপূর্বে আর কখনই তাহাকে এরূপ বিমর্ষ হইয়া দীর্ঘকাল একাকী থাকিতে হইত না ; অপরাহ্নে সমবয়স্কার আসিয়া জুটিতু । অল্পবয়স্কার একত্র হইয়া যদি কেবল বসিয়া থাকে,– কথা কব না, কবই না, বলিয়া যদি প্রতিজ্ঞা করিয়া বসিয়া থাকে, তথাপি তাহাদের মধ্যে আহলাদের তরঙ্গ উছলিয়া উঠে। যে পৰ্য্যস্ত দাস দাসী তাহার বাটিতে আসিয়াছে সেই পৰ্য্যস্ত প্রতিবাসীদের গতিবিধি কমিয়াছে। পূৰ্ব্বে মধ্যাহ্নে সকল সময়েই কেহ না কেহ আসিয়া জিজ্ঞাসা করিত “আজ এখন রাধচ ? অাজ কি রান্না হয়েছিল ? বেগুন কে দিলে ? তেল আর কেনা যায় না ছয় পয়সা করে পোয়, পরে কি যে হবে তাহা বলা যায় না।” এক্ষণে এ সকল আলাপ করিতে কেহ আর আইসে না । কিন্তু সকলেই আপন আপন বাটতে বসিয়া সৰ্ব্বদাই প, টুরমার কথা আন্দোলন করিতেছে। কেহ বলিতেছে পটুর মার কি অদৃষ্ট, কেহ উত্তর করিতেছে পোড়া কপাল অমন অদৃষ্টের। কেহ বলিতেছে রাজা নাকি প:টুর মাকে সোনায় মুড়েছে ; কেহ বলিতেছে তাহার কাপড়ে নাকি মুখ দেখা যায় ; কেহ বলিতেছে এই হই দিনে পটুরমার ঐ ফিরেছে বণ ফেটে পড়িতেছে। কেহ বলিতেছে “পুটুরমার গলায় দড়ি আবার লোকের নিকট মুখ দেখাবে কেমন করে।” যিনিই মুখে যাহা বলুন পটুর মাকে দেখিতে সাধ সকলের অতি প্রবল হইয়াছিল, কিন্তু যাবার উপায় নাই, প, টুর মার কলঙ্ক রটিয়াছে, এক্ষণে তাহার বাটী