পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नन्नर (ba यजघचञ [ करून যাইতে গৃহস্থের, আপন আপন কস্তাদের নিষেধ করিয়াছেন। পটুর মা এসকল কথা কিছুই জানেন না, একাকী বসিয়া আছেন এমত সময় একজন পরিচারিকা আসিয়া কেশবিন্যাস করিতে আহ্বান করিল। পটুর মা সকল বিষয়েই পরিচারিকাদের আজ্ঞাবাহক হইয়া পড়িয়াছেন, কাজেই কোন উত্তর না করিয়া তাহার সঙ্গে স্বতন্ত্র স্থানে গিয়া বসিলেন । তথায় নানাপ্রকার পাত্রে নান প্রকার উপকরণ প্রস্তুত ছিল, পুটুর মা মনে করিলেন তাহার একটি একটি করিয়া " নাম জিজ্ঞাসা করি কিন্তু জিজ্ঞাসা করিতে পারিলেন না । তখনকার বঙ্গযুবতীরা এখনকার স্তায় খৰ্ব্বকেশা হন নাই, তখন সিন্দুরে বিষ মিশে নাই, চুল টানিয়া বাধা ফোসন হয় নাই, কাজেই এক্ষণকার মত কেবল টাক চাকিতে ঘোমটার প্রয়োজন হইত না। পরিচারিক পুটুর মার পশ্চাতে বসিল, মেঘের ন্যায় পুটুর মার কেশরাশি এলাইয়া পড়িল। পরিচারিকা তাহার মধ্যে অঙ্গুলিসঞ্চালন করিতে করিতে বলিল “ঠাকুরাণীর কি চুল, আমাদের মহারাণীরও এরূপ নয়।” পুটুর মা দর্পণ তুলিয়া প্রসন্ন বদনে আপনার চুল দেখিতে লাগিলেন। কেশরাশি অঙ্গুলি আন্দোলিত হইয়া আসনে খেলিতেছে। পুটুরমা ঈষৎ হাসিমুখে আপনার কেশের প্রতি কটাক্ষ করিতে করিতে জিজ্ঞাসা করিলেন “রাণীর কেশ কি আরও ছোট ?” পরিচারিকা বলিল “আহা ! সে দুঃখের কথা আর কি বলিব ! এবার প্রসব হওয়ার পর তাহার অর্ধেক চুল গিয়াছে, যাহা কিছু আছে তাহা কেবল আমাদের গুণে । কেবল চুল কেন ? দেখেছেন ত রাণীর বর্ণ, যেন কাচা সোনা, তাহাও আমাদের ফলান। রাজা যে এতট রাণীকে ভাল বাসিতেন তাহাও আমাদের চেষ্টায়—” পুটুর মা। রাজা কি এখন আর রাণীকে তত ভাল বাসেন না ? পরি। “কই আর” এই বলিয়া পরিচারিকা চক্ষুভঙ্গি করিয়া হাসিল । পুটুর মা তাহা দেখিতে পাইলে আর একথার প্রসঙ্গ করিতেন না। পুটুর মা। রাজার ভালবাসা গেল কেন ? পরি । তা কি জানি মা ? রামি বলে আর সোহাগতৈল রাণী মাখেন না বলিয়া ভালবাসা গেল । পুটুর মা। সোহাগ তৈল কি ? পরি । সে একটা তেল । পুটুর মা । তা আর মাখেন না কেন ? পরি। কোথায় পাবেন ? আমি ছাড়িয়া গেলেম জার তেল র্তারে কে করে দেবে। সোহাগ তেল সকলের হাতে হয় না, আমার স্বামী আমাকে এক