পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{{પુર્ણી ♔്നു) উদ্দেশ্ব কি ? একথা লইয়া অতি প্রাচীনকাল হইতে আজি পর্য্যস্ত যে কত আন্দোলন হইয়া গিয়াছে তাহার ঠিকানা নাই। কত লোক যে কত কথা বলিয়া গিয়াছেন তাহার নির্ণয় হয় না। - র্যাহার যেরূপ প্রকৃতি, র্যাহার যেরূপ শিক্ষা, যাহার যেরূপ সহবাস, র্যাহার যেরূপ সমাজ তিনি সেইরূপ মনুষ্যজীবনের উদেশ্ব স্থিব করিয়া গিয়াছেন। তাহাদের মত লইয়া আবার অনেকে কত বিবাদ বিসম্বাদ করিয়াছে কত বাকু বিতণ্ডা করিয়াছে কত রাশি রাশি ভিন্ন ভিন্ন মত প্রচার করিয়াছে। যখন বৈদিক সময়ে মনুষ্যজীবনের প্রথম অবস্থা, যখন মনুষ্যপ্রকৃতির অসীম ক্ষমতা দৃষ্টে আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইয়া সৰ্ব্বত্র দেবতা দেখিত ও সেই দেবতাদিগের আরাধনা করিত তখন যাগযজ্ঞ স্তবস্তুতিই মনুষ্যজীবনের উদ্দেশ্য ছিল, ক্রমে যখন চিন্তাশক্তি প্রবল হইতে লাগিল যখন পুথিবীর সুখের সঙ্গে জন্মজরামরণকৃত দুঃখ অত্যন্ত ও একান্ত মিশ্রিত বোধ হইতে লাগিল তখন ইহলোকের সুখে বিসর্জন পরলোকের শুদ্ধ চৈতন্য ভাবে অবস্থান করাই (মুক্তিই) জীবনের উদ্দেশু হইয়া দাড়াইল। যখন অসংখ্য অনাৰ্য্যগণের মধ্যে আৰ্য্যজাতির সংখ্যা নিতান্ত অল্প ছিল তখন বংশবৃদ্ধি করিয়া পিতৃ পিতামহের নাম রক্ষা করা জীবনের উদ্দেশু হইয়া দাড়াইল। যখন দারুণ রৌদ্রতপ্ত আরবীয়গণ মহম্মদের মত অবলম্বন করত: প্রথম সভ্যতাসোপানে আরোহণ করিল-প্রথম চিন্তাসাগরে নিমগ্ন হইল তখন মৃত্যুর পর। দিব্যাঙ্গনাসংসর্গে স্বৰ্গপুরে মদিরাপান করাই বিধেয় স্থির হইল। যখন পুরোহিতপদদলিত ইউরোপ অজ্ঞানতিমিরে আচ্ছন্ন তখন ধর্শের জন্য পুরোহিত দিগকে অকাতরে ধনদান করাষ্ট জীবনের উদ্দেশু বলিয়া সংকল্পিত হইল। ইহা অপেক্ষাও আবার যখন ইউরোপের অবস্থা ক্রমশঃ অধিকতর শোচনীয় ভূইয়া উঠিল তখন পোপ মহাশয় ঈশ্বরের নায়েব দাওয়ান হইয়া স্বর্গের এক প্রকার নোট (indulgences ) প্রচার করিলেন, সেই নোট ভাঙ্গাইয়া