Save 1 मयूबा जौबद्धमब्र ७८मक्छ ¢ዊ® কি র্যাহারা কখন নিয়ম লঙ্ঘন করেন নাই তাহাদের মত হইতে পারেন । কখনই না। জীবনের ঐ এক দুর্ঘটনা স্মৃতি চিরদিন তাহাদের মনে মনে না হয় শরীরে গাঁথা থাকে তাহাতে র্তাহাদের শরীর ও মনের সর্বতোমুখী উন্নতি হইতে দেয় না । যাহারা পূৰ্ব্বোক্ত বিরোধের হস্ত হইতে মুক্ত হইয়া রীতিমত আপনাকে চালাইতে পারে তাহাদের শরীর সুস্থ থাকে, শরীর বলিষ্ঠ সুন্দর কৰ্ম্মক্ষম তেজী হয়, তাহাদের মনোবৃত্তি সকলও পরিবদ্ধিত হয়। শুদ্ধ বুদ্ধিশক্তি, শুদ্ধ হৃদয়বৃত্তি, শুদ্ধ কৰ্ম্মক্ষমতার উন্নতি হইয়া নিবৃত্ত হয় না, সকল প্রকার মনোবৃত্তিই তাহাদের পরিপুষ্ট হয় । তাহাদের দ্বারা জগতের অনেক কাজ হয় তাহারাই সমাজের শক্তি । স্বস্থশরীরে সবল মন থাকাই অনেকে মনুষ্যজীবনের প্রধান মুখ মনে করেন। তাহা নহে । সেট সম্যক্ৰপরিপুষ্ট ও উন্নত মনুষ্যজীবন মাত্র, মনুষ্যের জীবনের উদ্দেশ্ব স্বতন্ত্র । সুস্থ শরীর ও সবল মন মনুষ্যজীবনের উদ্দেশ্য সাধনের উপায় মাত্র। তাহা উদ্দেশ্য নহে। এক্ষণে মনুষ্যজীবনের উদ্দেশ্য কি দেখা যাউক । মনুষ্য যখন জন্মগ্রহণ করিল তখন তাহার মত নিঃসহায় অকৰ্ম্মণ্য জানোয়ার আর নাই ; এক বৎসর যাবে কথা ফুটিতে, দুই বৎসরে হাটিতে শিখিবে, তাহার পর কত কি শিখিলে পরে তবে সে আপনার আহার সঞ্চয় করিবার মত শক্তি পাইয়া স্বাধীন হইবে। এইরূপে স্বাধীন হইতে মনুষ্যের ২৭ বৎসর লাগে। এই সাতাইশ বৎসর পর্য্যন্ত সমাজ তাহাকে খাওয়াইয়া পরাইয়া তাহার যত্ন করিয়া তাহাকে বাচাইয়া রাখিল তবে সে স্বাধীন হইয়া নিজে খুটিয়া খাইতে শিথিল। যদি বল সমাজ খাইতে দিল কই, দিল তার বাপ মা । সত্য, কিন্তু বাপ মাই থাইতে দেয় কেন ? সেও সমাজের নিয়ম বলিয়া ত । প্রাচীন রোমে অনেক বাপ মা ছেলে হবামাত্র রাস্তায় ফেলিয়া দিয়া আসিত, আরো কত যায়গায় যে ছেলে ফেলিয়া দিবার প্রথা ছিল তাহার ঠিকানা নাই । ক্রমে সমাজবন্ধন যত দৃঢ় হইতে লাগিল ততই সন্তান প্রতিপালন পিতা মাতার অবশু কৰ্ত্তব্যের মধ্যে পরিগণিত হইল। তাহার পর অনেক পিতামাতা সন্তান প্রতিপালন করিয়া উঠিতে পারেন না, অনেক জায়গায় পিতামাতা বালকের বাল্যকালেই কালগ্রাসে পতিত হইয়া থাকেন, এ সৰ্ব্বত্রই ত সমাজ যে কোন রূপে ছেলেগুলিকে বঁাচাইয়া রাখে, কোন ছেলে পরের দয়ার উপর নির্ভর করে, কেহ দীর্ঘকাল শিক্ষানবিস থাকে। যে রূপেই হউক পিতামাতাই হউক, আত্মীয় বন্ধুই হউক, উদাসীনই হউক, মুনিয়মবদ্ধ দানপ্রণালীই হউক সবই সমাজবন্ধনের হেতুই হইয়া থাকে। সমাজবন্ধন না থাকিলে শতকরা নিরনব্বই ছেলে मांब्रा थाहैङ ।
