পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢ፃbo बाङ्गक्षेत्र [ कड़िन তুমি যদি অধিক করিতে পারিলে নিশ্চয়ই তাহারা তোমার মুখ্যাতি করিবে । অতএব যশ মনুষ্যজীবনের উদ্দেশু নহে, মনুষ্যজীবনের উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইলে তাহার পরিমাপক মাত্র। যাহারা সমস্ত জীৱন কেবল কিসে লোকে ভাল বলিবে কিসে লোকে ভাল বলিবে এই ভাবনায় অস্থির কেবল লোককে খুলী করিবার চেষ্টায় ফিরে তাহাদের যদি সার না থাকে তাহা হইলে তাহীদের সমস্ত উদ্যম বৃথা তাহারা কেবল লোকের হাস্যাম্পদ হয় মাত্র। যাহাদের সার আছে তাহাদের যশ: মুখ্যাতি বাধা । যাহারা যশকে জীবনের উদ্দেশু মনে করে তাহারা সের বাটখারাকে মাপ বলিয়া কিনিয়া লয়। অনেকে মনে করেন বিদ্যা জীবনের উদ্দেশু, আত্মোন্নতি জীবনের উদ্দেশ্য । আমাদের দেশে প্রথা ছিল যে বিদ্বানুব্যক্তিদিগকে দান করিবে তাহাদের সর্বতোভাবে উৎসাহ দিবে। কিন্তু বিদ্যা যদি খরচ না হইয়া শুদ্ধ পেটে গজ গজ করে তবে বিদ্যায় কাজ কি ? : যদি সেই বিদ্যা দ্বারা তুমি আপন দেন শোধ দিয়া সমাজকে কিছু ঋণ দিয়া যাইতে পার তবে ত জানি তোমার জীবন সার্থক নচেৎ তোমার পেটে বাজয় পোরা থাকিলেও তুমি যদি কেবল আপনার পেট চলিলেই খুলী থাক তবে তোমার বিদ্যার মুখে আগুন । তাহাই বলিতেছি যে বিদ্যা যশ; ধন মান পরোপকার এই সকল অতি উৎকৃষ্ট পদার্থ হইলেও ইহার কোনটিই জীবনের উদ্দেশ্য নহে। নিজের শরীর ও মনের উন্নতি হইয়া নিজের কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম সুচারুরূপে সম্পন্ন করিয়া তাহার পর বিদ্যা দ্বারা হউক, বুদ্ধি দ্বারা হউক, ধন দ্বারা হউক পরিশ্রম দ্বারা হউক সমাজকে কিঞ্চিৎ ঋণী করিয়া যাইতে পারিলে জীবনের উদ্দেশ্য সফল হইল । নচেৎ শুদ্ধ বিদ্যা লইয়া ধন লইয়া শক্তি লইয়া স্বাস্থ্য লইয়া ধুইয়া খাইলে হুইবে না । 義