পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বা"। ঐগোবিন্দ চন্দ্র দত্ত প্রণীত। বহরমপুর। অরুণোদয় যন্ত্রে মুদ্রিত। মূল্য ॥• আনা। 續 গোবিন্দ বাবু অবতরণিকায় লিখিয়াছেন যে “বালকের একমাত্র ভাষা রোদন। রোগে রোদন, বেদনায় রোদন, ক্ষুধায় রোদন, প্রার্থনায় (?) রোদন, ঘুমাইতে রোদন, জাগিতে রোদন, রোদন বই আর কথা নাই। প্রস্থতিরও দৃঢ় বিশ্বাস শিশু রোদন করিলেই বুঝিতে হইবে, তাহার ক্ষুধা হইয়াছে। অমনি জোর করিয়া ক্রোড়ে ফেলিয়া স্তন্য পান করাইতে বসেন । ইহা একবারও তাহার মনে হয় না পুত্রের রোদনের ক্ষুধা বার্তত আরও সহস্র কারণ থাকিতে পারে। এই কারণে অনেক সময়েই ক্ষুধা না থাকিলেও আহার হয়—অজীর্ণ হয়— উদরাময় জন্মে।” এইরূপ আরম্ভ দেখিয়া আমরা মনে করিয়াছিলাম যে গ্রন্থখানি গৃহস্থদের নিমিত্ত লিখিত হইয়াছে। স্ত্রীলোকেরা পাঠ করিয়া সতর্ক হইতে পারিবে এবং নিতান্ত আবশ্যক হইলে আপনারাই ব্যবস্থা করিতে পারিবে । পরে দেখিলাম গ্রন্থখানি ক্ষুদ্র হউক, নেটব ডাক্তারদিগের নিমিত্ত লিখিত হইয়াছে। প্রমাণ স্বরূপ নিম্নস্থ কয়েক পংক্তি ২৫ পৃষ্ঠ হইতে উদ্ধত করা গেল । “স্বানের জলের উষ্ণতা ৯২ ডিগ্রি অথবা ৯৫ ডিগ্রি ফ্যারনহিট পৰ্য্যন্ত ব্যবস্থা করা যায়। এই ঈষৎ উষ্ণ জলে সস্তানকে ছয় অথবা আট মিনিট পৰ্য্যন্ত নিমগ্ন করিয়া রাখিবেক এবং শীতল জলে স্পঞ্জ অথবা ন্যাকড়া ভিজাইয় তাহার মস্তক মুছাইয়া লইবে।” ঔষধের নাম গুলিও ল্যাটিন। বিলাতি ঔষধের বাঙ্গালা নাম কোথা পাওয়া যাইবে। নেটিৰ ডাক্তারগণ এই গ্রন্থ পড়িয়া বিশেষ উপকৃত হইবেন কি না জানি না কিন্তু যে প্রণালীতে লেখা হইয়াছে তাহাতে বোধ হয় উপকার হইবে ।