পাতা:বঙ্গদর্শন-ষষ্ঠ খণ্ড.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাব্য । সটীক । আনন্দ চন্দ্র মিত্র প্রণীত । ময়মনসিংহ ভারত মিহির যন্ত্রে শ্ৰীযদুনাথ রায় কর্তৃক মুদ্রিত। ১৭৯৮ শক । বাৰু আনন্দচন্দ্র মিত্র কাব্য লিখিয়াছেন—আব বাবু শ্ৰীনাথ চন্দ তাহার ভূমিকা লিখিয়াছেন। গ্রন্থ সমালোচনার জন্য আমাদিগের যে একটু প্রবৃত্তি ছিল, ঐনাথ বাবুব ভূমিকা পডিয়া তাহা তিবোচিত হইল। ভূমিকার যে অংশ, আমাদিগেব এই অপ্রবৃত্তিব কাবণ, তাহা উদ্ধৃত করিতেছি— “গ্রন্থকাবেব জীবনী লিখিবাব সময তয নাই । ইনি একজন বিলক্ষণ মনস্বী এবং প্রতিভাসম্পন্ন লোক। দারিদ্র্য বশত: উচ্চশিক্ষা লাভ করিতে পারেন নাই। কিন্তু অগ্নি কখনও ভস্মাচ্ছাদিত থাকে না । সহস্র বাধা সত্ত্বেও ইতার প্রকৃতি প্রদত্ত গুণনিচয় ক্রমশঃ বিকাশ প্রাপ্ত হইতেছে । সম্প্রতি ইনি শিক্ষালাভার্থ ইউরোপে গমন কবিতে কৃতসংস্কল্প হইয়াছেন। জনসন যেমন মাতৃপ্ৰেতকুল নিৰ্ব্বাহের জন্য সপ্তাহমধ্যে বাসেলাস উপন্যাস রচনা করিয়াছিলেন, ইনিও সেইরূপ উল্লিখিত বিশেষ উদ্দেশ্য সংসাধনার্থ শিক্ষকতা কাৰ্য্যে ব্ৰতী থাকিয়া এবং দুইখানি উৎকৃষ্ট মাসিক ও সাপ্তাহিক পত্রের প্রধান লেখকতার কার্য নির্বাহ করিয়াও তিন মাস মধ্যে এই কাব্য লিখিয়াছেন, আমরা স্বচক্ষে দেখিয়াছি। এমন কি গ্রন্থ কলেবরের তিন চতুর্থাশ লিখিত হইলেই মুদ্রাযন্ত্রে প্রেরিত হইয়াছে। আমরা ভরসা করি গ্রন্থকারের মনোরথ সংসিদ্ধ হইবে।” আমরা ইহাতে বুঝিতেছি যে লেখক তরুণবয়স্ক—এখনও শিক্ষার্থী—এবং সম্পন্ন ব্যক্তি নহেন—অর্থাভাবে সুশিক্ষায় বঞ্চিত। কাব্য পাঠেও আমরা এ দুইটা কথার পরিচয় পাইয়াছি । তিনি বিলাত যাইবার ইচ্ছুক হইয়াছেন, এবং পাথেয় সংগ্রহের জন্য হেলেনা কাব্যকে বঙ্গসমাজে প্রেরণ করিয়াছেন। এমত অবস্থায় গ্রন্থের সমুচিত সমালোচনা করিয়া, আমরা তাঙ্গার মনোরথ ভঙ্গ করিতে অনিচ্ছুক । বিলাত গেলেই বাঙ্গালীর ছেলে একটা কিছু হইয়া আইসে—আর কাহারও কিছু